—ফাইল চিত্র।
সরকারি স্কুলের নাম বদলে কী ভাবে তা স্বর্গীয় বাবার নামে নামাঙ্কিত করলেন, কেনই বা তাঁর পুত্র স্কুলের গৃহ নির্মাণের লক্ষাধিক টাকা দান করলেন, সেই টাকারই বা উৎস কী— এই সব প্রশ্নের উত্তর পেতে প্রাক্তন পর্ষদ সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যের পৈতৃক ভিটতে নদিয়ার নাকাশিপাড়ার ঘোড়াইক্ষেত্রে তল্লাশি চালালেন ইডি আধিকারিকেরা। চতুর্থীর সকালে ওই স্কুলে পৌঁছয় ইডির একটি দল। নিয়ম বহির্ভূত ভাবে কোনও টেন্ডার প্রক্রিয়া ছাড়াই স্কুলের গৃহ নির্মাণে প্রভাব খাটিয়েছিলেন মানিক পুত্র শৌভিক, এমনটাই অভিযোগ ইডির। অভিযোগের তদন্তে স্কুলের প্রধান শিক্ষক ও প্রাথমিক বিভাগের প্রধান শিক্ষককেও জিজ্ঞাসাবাদ করেন ইডি আধিকারিকেরা। ইডি সূত্রে খবর, স্কুলের সমস্ত নথি খতিয়ে দেখেন তাঁরা।
মঙ্গলবারই কলকাতা হাই কোর্টে শৌভিক ভট্টাচার্যের জামিন সংক্রান্ত মামলার শুনানি ছিল। সেখানে ইডি আধিকারিকেরা পলাশিপাড়ায় একটি স্কুলের তথ্য প্রকাশ্যে আনেন। সেই স্কুলে বেআইনি লেনদেন হয়েছে বলে আদালতে অভিযোগ করে ইডি। শৌভিকের প্যান নম্বরের সূত্র ধরে একটি ক্লাব এবং এই স্কুলের অ্যাকাউন্টের খোঁজ পায় ইডি। সেই স্কুলের বিভিন্ন নথি বাজেয়াপ্ত করার প্রক্রিয়াও ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে বলে আদালতে জানায় তারা।
ইডির তল্লাশি প্রসঙ্গে ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষক সুমন চৌধুরী বলেন, “আমাদের স্কুল অ্যাড হক কমিটি পরিচালিত। শৌভিক ভট্টাচার্য আমাদের স্কুলের সঙ্গে কোনও ভাবেই যুক্ত নন। আমাদের অ্যাসিস্ট্যান্ট ইন্সপেক্টর অফ স্কুল হচ্ছেন আমাদের স্কুলের সেক্রেটারি, প্রেসিডেন্টও বিডিও নমিনেটেড। তবে শৌভিক ভট্টাচার্য একবার এক লক্ষ টাকা দান করেছিলেন। কেবল এক লক্ষ টাকা। মানিক ভট্টাচার্য কোনও টাকা দেননি।”