—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
নদিয়ার কল্যাণীর বিদেশি মদের বটলিং প্ল্যান্টে সোমবার সকাল ৬টা থেকে শুরু হওয়া আয়কর বিভাগের তল্লাশি ৭২ ঘণ্টা পার করল। প্ল্যান্টের ভিতর প্রহরায় রয়েছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। আয়কর দফতরের একটি সূত্রের দাবি, ইডির কয়েক জন কর্তাও সেখানে গিয়েছেন। তল্লাশির পাশাপাশি প্ল্যান্টের কর্তাদের দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।
রোজকার মতো বুধবারও কারখানায় এসেছিলেন কর্মীরা। কিন্তু সেখানে এসে তাঁরা দেখেন, ‘নো ওয়ার্ক, নো পে’-র নোটিস ঝোলানো হয়েছে। এর পরেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন কর্মীদের একাংশ। কারখানা বন্ধ হলে তাঁদের রোজগারও বন্ধ হয়ে যাবে। তাই ক্ষোভপ্রকাশ করছেন তাঁরা। এক কর্মীর কথায়, ‘‘টাকা না পেলে সংসার চালাব কী করে?’’
এ বিষয়ে সংস্থার কর্মী ইউনিয়নের সম্পাদক রাজু দাস বলেন, ‘‘কী জন্য এই তদন্ত চলছে, তা আমরা জানি না। তবে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ কাজ বন্ধ রাখতে বলেছেন। সেই কারণে কাজ বন্ধ রাখতে হয়েছে। কর্তৃপক্ষের কাছে আমাদের একটাই আবেদন। কর্মীরা নিয়মিত কারখানায় আসছেন, তাঁদের যেন প্রাপ্য পাওনা থেকে বঞ্চিত না করা হয়।’’
কর্মীরা জানাচ্ছেন, ২০১৫ সালে এই মদের কারখানাটি তৈরি করা হয়। তার দু’বছর পর কারখানা বিক্রি করে দেয় মালিকপক্ষ। বর্তমানে ‘অ্যালায়েড ব্লেন্ডার্স অ্যান্ড ডিস্টিলার্স লিমিটেড’ নামে একটি সংস্থা কারখানা পরিচালনা করে। তবে স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, প্ল্যান্টের মালিক মহারাষ্ট্রের বাসিন্দা। তাঁর কোনও রাজনৈতিক পরিচয় রয়েছে কি না, সেই বিষয়টি এখনও স্পষ্ট নয়। এই ঘটনার সঙ্গে ঝাড়খণ্ড ও ওড়িশার মদ সংক্রান্ত অভিযানের কোনও যোগাযোগ রয়েছে কি না, তা এখনও স্পষ্ট নয়।