লাফ: বহরমপুরে ওষুধের দোকানের সামনে। ছবি: ইন্দ্রাশিস বাগচী।
সন্ধে থেকেই গুজবটা ছিল, ভূমিকম্পে কেঁপে উঠবে এলাকা। বুধবার মাঝ রাতে আছড়ে পড়ল তা। আর সেই গুজবের জেরেই ঝাড়খণ্ড লাগোয়া শমসেরগঞ্জের সাহেবনগর, অন্তর্দীপা, ইসলামপুর সহ কয়েকটি গ্রামের কয়েক হাজার বাসিন্দা বুধবার মাঝ রাতে নেমে এলেন রাস্তায়। মাঝ রাতে মসজিদের আজান এবং পাড়ায় পাড়ায় শঙ্খধ্বনি ও উলুধ্বনির আওয়াজে রাস্তায় জেগে বসে রইল গ্রামগুলি। পাশের মসজিদে মাঝ রাতে আজান শুরু হতেই দশ বছরের নাতনি রেশমা খাতুনের হাত ধরে অন্ধকারের মধ্যেই মাঠের দিকে ছুটেছেন বৃদ্ধা গুলনাহার বেওয়া। তত ক্ষণে সেখানে হাজির গ্রামের শ’দু’য়েক মানুষ। করোনার লক্ষ্মণরেখা ভেঙে তছনছ হয়ে যায়।
মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজের মনোরোগ বিভাগের প্রধান রঞ্জন ভট্টাচার্য বলছেন, “ঘরবন্দি মানুষের অবচেতন মনে আতঙ্ক রয়েছে। অস্থিরতা, হতাশায় তাঁরা অধৈর্য হয়ে পড়ছেন। এই অবস্থায় মনের মধ্যে কোনও না কোনও ভাবে আরও ভয় চেপে বসে। সেটা কখনও কখনও গণ হিস্টেরিয়ায় পরিণত হয়।’’
জঙ্গিপুরের এসডিপিও প্রসেনজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় বলছেন, “গুজব যখন রটছিল, তখনই পুলিশকে জানানো উচিত ছিল। আমি দেখছি, কিভাবে মানুষকে রাত দুপুরে বিভ্রান্ত করা হয়েছে। যদি কেউ এর পিছনে জড়িত রয়েছেন বলে মনে হয় অবশ্যই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”