করোলাকালে শপিং। ফাইল চিত্র।
কৃষ্ণনগরে কেক-প্যাটির দোকানটায় দাঁড়ানোর জায়গা নেই। সকলে বেরিয়ে পড়েছেন পুজোর বাজার করতে।
জেলার প্রায় সর্বত্র শপিং মলে, জুতো- জামাকাপড় থেকে শুরু করে ইলেকট্রনিক্স দোকানে উপচে পড়ছে ভিড়। অনেক দোকানে নেই স্যানিটাইজ়ার। ক্রেতাদের নেই মাস্ক। পারস্পরিক দূরত্বের কথায় লোকে অবাক হয়ে তাকাচ্ছে! পুলিশ-প্রশাসনের কোনও ভূমিকা কার্যত চোখে পড়ছে না। কাজের মধ্যে মাঝে-মাঝে ‘অভিযান’ চালিয়ে মাস্ক না পড়া কিছু লোকজনকে গ্রেফতার করা। পুলিশ অবশ্য দাবি করছে, তারা ব্যবসায়িক সংগঠনগুলির সঙ্গে বৈঠকে জানিয়েছে, স্যানিটাইজার, মাস্ক, ক্রেতাদের মধ্যে অন্তত তিন ফুট করে দূরত্ব রক্ষা করার বিধি মেনে চলতে হবে। কিন্তু তা বাস্তবায়িত করার কোনও লক্ষণ দেখা যাচ্ছে না।
কৃষ্ণনগর পুলিশ জেলার সুপার জাফর আজমল কিদোয়াইকে ফোনে পাওয়া যায়নি। তবে জেলাশাসক বিভু গোয়েল বলেন, “আমরা ব্যবসায়ী সংগঠনগুলিকে আবার অনুরোধ করব সমস্ত নির্দেশিকা মেনে চলতে।” যদি সেই অনুরোধ তাঁরা না মানেন? জেলাশাসক বলেন, “সে ক্ষেত্রে কড়া পদক্ষেপ করতে বাধ্য হব।” তবে উৎসবের সময়ে সবাইকে যথাসাধ্য বুঝিয়েই সমস্যার সমাধানের চেষ্টা করা হবে বলে তিনি জানান। নদিয়া ডিস্ট্রিক্ট চেম্বার অ্যান্ড ও কমার্স-এর যগ্ম সম্পাদক গোকুলবিহারী সাহা বলেন, “আমরাও ব্যবসায়ীদের অনুরোধ করছি সরকারি নির্দেশ মেনে চলতে। যদি কেউ সেটা না করে তাহলে সংগঠনের পক্ষ থেকে কড়া পদক্ষেপ করা হবে।”
কাজে আর কথায় কতটা ফারাক তা অবশ্য বাজারের ছবিই বলে দেবে।