আদালতের রায়ের পরে মণ্ডপের সামনে ‘নো-এন্ট্রি’ নোটিস টাঙানো হচ্ছে বহরমপুরের একটি মণ্ডপে। ছবি: গৌতম প্রামাণিক
মণ্ডপ ছোট-বড় যাই হোক আদালতের রায়ে মণ্ডপের চারপাশে ৫ থেকে ১০ মিটার দূরত্ব পর্যন্ত ব্যারিকে়ড করে দিতে হবে। পুজো শুরুর মুখে আদালতের সেই রায় শুনে প্রথমে কোনও কোনও পুজো কমিটি নিরাশ হলেও মঙ্গলবার অবশ্য ব্যারিকেড তৈরি করতে ঝাঁপিয়ে পড়লেন সমস্ত পুজো উদ্যোক্তারা। তবে তাঁদের নয়া চিন্তা ব্যারিকেডের বাইরের ভিড় সামলানো নিয়ে।
বেশ কিছু পুজো উদ্যোক্তা রাস্তা থেকে তাঁদের মণ্ডপসজ্জা ও প্রতিমা দর্শনের ব্যবস্থা করায় ব্যারিকেডের ওপারে মানুষের ভিড় উপছে পড়বার আশঙ্কা করছেন। ৪০ বছরের পুরনো পুজো বহরমপুর পুরাতন কান্দি বাসস্ট্যান্ডের পুজো। একদম রাস্তার উপরেই পুজোর মণ্ডপ তৈরি হয়। ওই পুজো কমিটির অন্যতম সদস্য তথা তৃণমূল নেতা ভীষ্মদেব কর্মকার বলেন ‘‘মণ্ডপের সামনে জায়গা কম। তাই ব্যারিকে়ড করা অসুবিধা। আদালতের রায় মানতে শেষ মুহূর্তে মণ্ডপের পেছনের দুটি দেওয়াল খুলে চারপাশ খোলা করা হয়েছে।
যাতে রাস্তা থেকে মানুষ প্রতিমা দেখতে পারেন।’’ সেখানেও তো ভিড় হতে পারে। ভীষ্মদেব বলেন, ‘‘ সেই ভি়ড় সামলানোর জন্য কমিটির স্বেচ্ছাসেবকদের পাশাপাশি পুলিশকেও অনুরোধ করব সাহায্য করতে।’’ স্বর্ণময়ী আনাজ বাজারের মধ্যেই ৭০ বছর ধরে পুজো হয় অভ্যূদয় সংঘের। ওই পুজো কমিটির সম্পাদক অভিজিত মিশ্র বলেন, ‘‘ আদালতের নির্দেশমত সব ব্যবস্থা করার চেষ্টা করবো। দশ মিটার দূরত্বের পর আরও বিশ মিটার দূরত্ব থেকে আমাদের স্বেচ্ছাসেবকরা ভিড় নিয়ন্ত্রণ করবে।’’ তবে প্রশাসনের সহযোগিতা ও দরকার বলে জানান ওই উদ্যোক্তা। বিটি কলেজ বটতলার ভেতরে গলির ভেতর ভট্টাচার্য পাড়ার মাঠে ৮০ বছর ধরে পুজো হচ্ছে। সেখানে মানুষের ভিড়ে দূরত্ব বিধি ভাঙার আশঙ্কা রয়েছে উদ্যোক্তাদের ও। আদালতের রায়ে খুশি জানিয় ওই পুজো কমিটির সম্পাদক সুজয় সরকার বলেন, " প্রতিমা থেকে অন্তত ৩০ মিটার দূরে ব্যরিকেড থাকবে। রাস্তায় সুরক্ষা বলয় দিয়ে দর্শনার্থীদের আসতে হবে। তারপর স্যানিটাইজেশন টানেল পার করে প্রতিমা দর্শন করে বেরিয়ে যাবেন অন্য রাস্তা দিয়ে।" এই কাজের জন্য স্বেচ্ছাসেবক থাকবে যেমন তেমন পুলিশের সাহায্য চাওয়া হবে বলেও জানান তিনি। শহরের অন্য পুজো উদ্যোক্তারা ও অবশ্য ব্যরিকেডের বাইরে ভিড় নিয়ন্ত্রণের জন্য পুলিশের সাহায্য চাইছেন। তাঁদেরই অন্য একটি পুজো উদ্যোক্তা বলছেন, " সবসময় সতর্ক থাকলেও মানুষকেও নিজের ভাল বুঝতে হবে। তাকে ভিড় এড়িয়েই চলতে হবে। নইলে পরে সংক্রমণ বাড়তে পারে।"