চলছে কাজ। নিজস্ব চিত্র
জেলার বেশ কয়েকটি পুর এলাকার রাস্তাঘাটে অনেক দিন আগেই বসেছিল সিসিটিভি ক্যামেরা। কিন্তু এতদিন জিয়াগঞ্জ-আজিমগঞ্জ পুর এলাকায় সে সব বসেনি। বাসিন্দাদের দীর্ঘদিন ধরে দাবি ছিল সিসিটিভি ক্যামেরা। অবশেষে দুর্গাপুজোর কয়েক দিন আগেই সেই কাজ শুরু হল। জিয়াগঞ্জ-আজিমগঞ্জ পুরসভা এলাকার নিরাপত্তা বাড়াতে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায় সিসিটিভি ক্যামেরা বসানোর কাজ শুরু হয়েছে বলে খবর।
এ নিয়ে জিয়াগঞ্জ-আজিমগঞ্জের প্রশাসক তথা প্রাক্তন পুরপ্রধান প্রসেনজিৎ ঘোষ বলেন, ‘‘বাসিন্দারা অনেক দিন ধরেই এই দাবি তুলেছিলেন যে এলাকার রাস্তাগুলিতে সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হোক। পুজোর আগেই শহরজুড়ে সিসিটিভি ক্যামেরা বসানোর কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে। সপ্তমীর আগেই গোটা শহরে সিসিটিভি ক্যামেরা বসে যাবে। এটাই শহরবাসীকে আমাদের পুজো উপহার।’’এ ছাড়া, পুরসভা সূত্রে খবর, সিসিটিভি ক্যামেরার জন্য প্রায় এক কোটি টাকা অনুদান দিয়েছে রাজ্য সরকার। জিয়াগঞ্জ-আজিমগঞ্জ পুরসভা এলাকা জুড়ে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মোড়-সহ কয়েকটি জায়গায় প্রায় দেড়শো সিসিটিভি ক্যামেরা বসানো হবে। সিসিটিভি ক্যামেরা বসানোর পর তা রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব অবশ্য নিজেদের হাতে রাখছে না পুরসভা। কাজ শেষ হলে সেই দায়িত্ব দেওয়া হবে জিয়াগঞ্জ থানার হাতে। থানাই নিয়ন্ত্রণ করবে সিসিটিভি ক্যামেরাগুলি।
এদিকে, দেরিতে হলেও নিরাপত্তার স্বার্থে এলাকায় সিসিটিভি ক্যামেরা বসায় খুশি সাধারণ মানুষ। এতদিন পুর এলাকায় রাস্তার মোড়ে সিসিটিভি ক্যামেরা না থাকায় শহরের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠত। প্রায় সকলেই আক্ষেপ করতেন, পাশের মুর্শিদাবাদ ও বহরমপুর পুর এলাকার রাস্তাঘাটগুলি কয়েক বছর কয়েক আগেই সিসিটিভি ক্যামেরায় মুড়ে ফেলা হয়েছে। কিন্তু, জিয়াগঞ্জ-আজিমগঞ্জ কেন তা থেকে বঞ্চিত। এছাড়া, রাস্তায় যে কোনও অপরাধের ঘটনা ঘটলে সিসিটিভি ফুটেজ দেখে অপরাধীকে পাকড়াও করাও পুলিশের পক্ষে অনেক সহজ হয়ে যায়। সেই বিষয়টিও অনেকে মনে করিয়ে দিতেন পুরসভাকে। তারপরও কয়েক বছর ধরে ‘হচ্ছে হবে’ শুনতে হচ্ছিল বাসিন্দাদের।
স্থানীয় বাসিন্দা দেবাশিস ঘোষ এদিন বলেন, ‘‘কতদিন ধরেই আমরা পুরসভার কাছে এই দাবি জানিয়ে আসছিলাম। পুজোর মুখে তা বসছে দেখে ভাল লাগছে। এটা তো ভাবার বিষয় যে, রাস্তায় সিসিটিভি ক্যামেরা থাকলে অপরেধার ঘটনা যেমন কমবে, তেমনই কোনও অপরাধ ঘটলে অভিযুক্তকে ধরাও অনেক সহজ। পুরসভা এতদিন সেই সারসত্য বুঝল।’’