প্রতীকী ছবি।
হাঁসখালিতে ভাইয়ের বিয়েতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ ব্যক্তির পা থেকে গোটা কার্তুজ বার করতে পারলেন না চিকিৎসকেরা। চণ্ডীচরণ বিশ্বাস নামে ওই ব্যক্তির পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, কার্তুজের একাংশ তাঁর হাড়ের মধ্যে রয়ে গিয়েছে।
তবে সে জন্য বিএসএফ জওয়ান চণ্ডীচরণের কোনও শারীরিক সমস্যা হবে না বলেই পরিবারের সদস্যদের জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা। তিনি এখন অনেকটাই ভাল আছেন।
উল্লেখ্য, গত ৩০ জানুয়ারি, বুধবার নবদ্বীপের তেঘরিপাড়া কলাবাগানের বাসিন্দা চণ্ডীচরণ তাঁর ভাইয়ের বিয়েতে বরযাত্রী গিয়ে দুষ্কৃতীদের হামলার মুখে পড়েছিলেন। হাঁসখালি ভায়নার বাসিন্দা সুভাষ বিশ্বাসের মেয়ে অপর্ণা বিশ্বাসের সঙ্গে চণ্ডীচরণের ছোট ভাই চন্দন বিশ্বাসের বিয়ের অনুষ্ঠান চলাকালীন ওই ঘটনা ঘটে। চন্দন নিজেও সিআরপিএফে কর্মরত। বিয়েবাড়ির সামান্য দূরে রাস্তার ধারে দাঁড়িয়ে ছিল বরযাত্রীদের বাস। সেই বাসের চালক এবং খালাসিকে খাবার পৌঁছে দিতে গেলে স্থানীয় এক দল দুষ্কৃতী চড়াও হয় চণ্ডীচরণ এবং তাঁর এক বন্ধুর উপর। পরিবারের অভিযোগ, কার্যত বিনা প্ররোচনায় হামলা করে ভায়নার ওই দুষ্কৃতীরা। প্রথমে তাদের মারে মাথা ফেটে যায় চণ্ডীচরণের। পরে গুলি চালালে তা ডান উরুতে ঢুকে যায়।
গুরুতর জখম অবস্থায় তাঁকে প্রথমে নিয়ে যাওয়া হয় স্থানীয় হাসপাতালে। সেখানে থেকে সঙ্গে সঙ্গেই শক্তিনগর জেলা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। প্রাথমিক চিকিৎসার পরে মাঝরাতে তাঁকে কলকাতার নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজে স্থানান্তরিত করা হয়। পর দিন আবার তাঁকে স্থানান্তরিত করা হয় কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে। সেখানেই তিনি চিকিৎসাধীন।
চন্দন বলেন, “গুলির সামনের দিকের ধাতব টুপির মতো অংশটি ভিতরেই রয়ে গিয়েছে। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন ওই অংশটি পায়ের একটি গুরুত্বপূর্ণ হাড়ের মধ্যে এমন ভাবে ঢুকে আছে যা বার করতে গেলে ওই হাড়টি ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে।’’
হাঁসখালির ভায়না গ্রামে ৩০ জানুয়ারি রাতে মারধর এবং গুলি চালানোর ঘটনায় এখনও কেউ গ্রেফতার হয়নি। চন্দন বলেন, “দাদা সুস্থ হয়ে ফিরলে বিষয়টি নিয়ে আমরা অভিযোগ দায়ের করব।”