কংগ্রেস-বিজেপির সাহায্য নিয়ে স্থায়ী কমিটি
Suti TMC

জাকিরকে তীব্র আক্রমণ তৃণমূল ব্লক সভাপতির

প্রসঙ্গত, গরিষ্ঠতা থাকা সত্ত্বেও তৃণমূলের দুই বিধায়ক ইমানি বিশ্বাস ও জাকির হোসেনের দ্বন্দ্বে সুতি ১ পঞ্চায়েত সমিতির স্থায়ী কমিটিতে জায়গা পাননি দলের ঠিক করে দেওয়া প্রার্থীরা।

Advertisement

বিমান হাজরা

সুতি শেষ আপডেট: ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩ ০৯:১৯
Share:

—প্রতীকী চিত্র।

সুতি ১ পঞ্চায়েত সমিতির বোর্ডকে স্বীকৃতি দেবে না তৃণমূল। দলের ব্লক সভাপতি সিরাজুল ইসলাম শনিবার স্পষ্ট ভাষায় জানালেন, বিজেপি ও কংগ্রেসের সমর্থন নিয়ে এবং দলের ঠিক করে দেওয়া প্রার্থীদের হারিয়ে সেখানে বোর্ড গড়েছেন জাকির হোসেনের অনুগামীরা। তাই তাঁরা এই বোর্ডকে স্বীকৃতি দিচ্ছেন না।

Advertisement

প্রসঙ্গত, গরিষ্ঠতা থাকা সত্ত্বেও তৃণমূলের দুই বিধায়ক ইমানি বিশ্বাস ও জাকির হোসেনের দ্বন্দ্বে সুতি ১ পঞ্চায়েত সমিতির স্থায়ী কমিটিতে জায়গা পাননি দলের ঠিক করে দেওয়া প্রার্থীরা। তার দখল নিয়েছেন জঙ্গিপুরের তৃণমূল বিধায়ক জাকির হোসেনের অনুগামীরা। সেখানে আগেই বিজেপি ও কংগ্রেসের ৬ সদস্যকে নিয়ে পঞ্চায়েত সমিতির বোর্ড গড়েছিলেন জাকির অনুগামী তৃণমূল কর্মীরা। শনিবার স্থায়ী সমিতিও তাঁরা নিজেদের দখলে রাখলেন। এ দিনের সভায় জাকির-ইমানি দু’জনেই হাজির ছিলেন। ছিলেন তৃণমূলের তিন জেলা পরিষদ সদস্যও। তৃণমূলের নির্দেশ ছিল, ব্লকে জয়ী দলের ১২ জন সদস্যকে নিয়েই সুতি ১ ব্লকে পঞ্চায়েত সমিতির সবক’টি বোর্ড গড়তে হবে। সভাপতি ও সহকারী সভাপতি পদে যাঁদের নাম পাঠায় দল, তাঁদের হারিয়ে আগেই বিজেপি ও কংগ্রেসের ছ’জনের সাহায্যে বোর্ড গড়েন জাকিরের অনুগামীরা। এ দিন সভা শেষে জাকিরের এই কাজকে ‘দলবিরোধী’ আখ্যা দিয়ে ক্ষোভে ফেটে পড়েন সুতি ১ ব্লকের তৃণমূল সভাপতি সিরাজুল ইসলাম। ইমানি-অনুগামী বলে পরিচিত সিরাজুল বলেন, “জাকির দলের রাজ্য কমিটির সহ সভাপতি হতে পারেন। কিন্তু তিনি দলের নির্দেশ না মানলে আমরাও এই পঞ্চায়েত সমিতি মানি না।”

সিরাজুল বলেন, “তৃণমূলের ১২ জন সদস্য পঞ্চায়েত সমিতিতে নির্বাচিত হয়। দলের নির্দেশ ছিল, দলের নির্বাচিত সদস্যদের নিয়েই স্থায়ী সমিতি গঠন করতে হবে। কিন্তু সভায় দেখা গেল, বিজেপি ও কংগ্রেসের ছয় সদস্যকে নিয়ে জাকির হোসেন বসে রয়েছেন। সেই মতো ভোট প্রক্রিয়া শুরুরও নির্দেশ দিলেন। ইমানি বিশ্বাস প্রস্তাব দিয়েছিলেন, যেহেতু তৃণমূলের ১২ জন বিধায়ক রয়েছেন, তাই স্থায়ী সমিতি গড়া হোক তাঁদের নিয়েই। কিন্তু তাঁরা তা মানেননি।’’তাঁর আরও অভিযোগ, “যে তিন কংগ্রেস সদস্য পঞ্চায়েত সমিতিতে পাশ করেছেন তাঁরা ৫৭ নম্বর সুতি বিধানসভার। অথচ বিধায়ক বা আমাকে না জানিয়ে জাকির তাঁদের তৃণমূলে নিয়েছেন। তিনি দলের নিয়ম মানছেন না। এটা তৃণমূলের বোর্ড নয়।’’ তবে এ দিন সভা ছেড়ে বেরনোর সময় সাংবাদিকদের কাছে কোনও মন্তব্য করেননি জাকির। তৃণমূলের জঙ্গিপুরের জেলা সভাপতি খলিলুর রহমান বিদেশে রয়েছেন। তাঁর সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা যায়নি। প্রতিক্রিয়াও মেলেনি।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement