কৃষ্ণনগর এসডিও অফিসের সামনে জমা জল। ছবি: সুদীপ ভট্টাচার্য।
নাগরিকদের স্বাচ্ছন্দ দেওয়াই যাঁর কাজ, খোদ সেই জেলাশাসকের কার্যালয়ের একাংশে প্যাচপ্যাচে কাদা। জমে রয়েছে জল।
দীর্ঘদিন ধরে জেলা প্রশাসনিক ভবনের মহকুমা শাসকের (সদর) কার্যালয়ের সামনের নিকাশিনালা পরিষ্কার করা হয় না। ফলে নোংরা ভর্তি নালা উপচে পড়েছে। নালার নোংরা রাস্তায় পড়েছে। চোখের সামনে নিত্যদিন এ দৃশ্য দেখেও প্রশাসনের কোনও কর্তাব্যক্তির হেলদোল নেই। বিষয়টি তাঁদের গা সওয়া হয়ে গিয়েছে। আর এই নোংরা ডিঙিয়ে লোকজনকে মহকুমাশাসকের কার্যালয়ের পাশ দিয়ে জেলাশাসকের কার্যালয়ে যেতে হয়। কালীগঞ্জের বাসিন্দা সন্দীপ পাল বলেন, ‘‘মাঝেমধ্যেই নানা প্রয়োজনে জেলা প্রশাসনিক কার্যালয়ে আসতে হয়। মহকুমা শাসকের কার্যালয়ের সামনে নোংরা ডিঙিয়ে কোনও আধিকারিকের ঘরে যেতে হয়। বর্ষাতে নোংরা জলে থইথই করছে প্রশাসনিক কার্যালয়ের একাংশ। কিন্তু সমস্যা সমাধানের দিকে কারও কোনও নজর নেই।’’ একই অভিজ্ঞতা চাপড়ার ডোমপুকুরের বাসিন্দা রাহুল মণ্ডলের। তিনি জানালেন, পাড়া-গাঁয়ে না হয় জল-কাদা ভেঙে যাতায়াত করতে হয়। তাই বলে খোদ জেলাশাসকের অফিসেও নোংরা জলের ওপর দিয়ে যাতায়াত করতে হবে?
এ দিকে নোংরা সাফ করার দিকে কারও নজর নেই। অথচ এ নিয়ে তরজা শুরু হয়েছে। জেলা প্রশাসনের এর দায় চাপাচ্ছেন পুরসভার ঘাড়ে। নদিয়ার জেলাশাসক বিজয় ভারতী জানান, নিকাশিনালা পরিষ্কার করার কথা পুরসভার। কিন্তু পুরসভা তা করে না। ফলে এই সমস্যা। তবে জেলাশাসকের আশ্বাস, ‘‘দ্রুত এই সমস্যার পাকাপাকি সমাধান করা হবে। এ ব্যাপারে পূর্ত দফতরের কর্তারা দ্রুত নির্দেশ দেওয়া হবে।’’
যদিও কৃষ্ণনগর পুরসভার সাফাই বিভাগের চেয়ারম্যান ইন কাউন্সিল স্বপন সাহা বলেন, “জেলাশাসকের কার্যালয় চত্বরের নিকাশিনালা নিয়মিত সাফ জন্য পর্যাপ্ত কর্মী নেই।’’
অতএব, নিত্যদিন জেলাশাসকের দফতরে আসা শত শত লোকজনকে নোংরা জলে পা দিতে হবে। এটাই যেন দস্তুর হয়ে পড়েছে।