শুভেন্দু অধিকারীর টুইট ঘিরে নতুন করে জল্পনা শুরু হল রাজনৈতিক মহলে। — ফাইল চিত্র।
রাজ্য জুড়ে সিভিক ভলান্টিয়ার নিয়ে বিতর্কের মাঝেই বিরোধী দলনেতার বিজেপির শুভেন্দু অধিকারীর টুইট ঘিরে নতুন করে জল্পনা শুরু হল রাজনৈতিক মহলে। সাগরপাড়া থানার সিভিক ভলান্টিয়ারদের জলপাই রংয়ের পোশাক পরা নিয়ে শুভেন্দুর ওই টুইটকে ঘিরে অস্বস্তিতে জেলা পুলিশ। যদিও জেলা পুলিশের কর্তাদের দাবি, ওই ছবি বর্তমান সময়ের নয়, কিন্তু তার পরেও খতিয়ে দেখা হবে বিষয়টি।
সিভিক ভলান্টিয়ারদের জলপাই রংয়ের পোশাক পরিয়ে কাজে লাগানো নতুন কোনও ঘটনা নয়। পুলিশ ও বিভিন্ন রাজনৈতিক দল সূত্রে খবর, মুর্শিদাবাদের অনেক থানায় একটা সময় বেশ কিছু সিভিক ভলান্টিয়ারকে বেছে নিয়ে এমন পোশাক পরিয়ে পুলিশের কাজে লাগাত জরুরি সময়ে। বিষয়টি নিয়ে এর আগেও রাজনৈতিক মহলে জল্পনা হয়েছে। বিরোধীরা অভিযোগও তুলেছিল। আর এ বার এই ঘটনাকে ঘিরে আবারও সুর চড়িয়েছে বিজেপি।
বিজেপির দক্ষিণ মুর্শিদাবাদ জেলার সভাপতি শাখারভ সরকার বলছেন, ‘‘নীল পাড়ের শাড়ি পরলে যেমন মা সারদা হওয়া যায় না, তেমনই ভাবে জলপাই রঙের পোশাক পরলেও সিভিক ভলান্টিয়ার আর্মি বা কমব্যাট ফোর্সের জওয়ান হতে পারবেন না। কাক রং বদলালে ময়ূর হয় না। সিভিক ভলান্টিয়ার যে পোশাকই পরুক না কেন, শাসক দলের দাসত্বই করতে হবে তাঁদের।’’
রাজনৈতিক মহলের দাবি, মূলত গ্রাম পঞ্চায়েত নির্বাচনে কেন্দ্রীয় বাহিনী প্রয়োগের নানা চেষ্টায় করছেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু। আর তার জন্য যা যা করা দরকার তা করে চলেছেন তিনি। যদিও শাসক দলের নেতাদের দাবি, এর আগেও অনেক বার কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে নির্বাচন করেছে বিজেপি। কিন্তু তার পরেও সাধারণ মানুষ তাদের বর্জন করেছে। বাংলার মানুষ গ্রাম পঞ্চায়েত নির্বাচনেও একই ভাবে ছুড়ে ফেলবে তাদের।
মুর্শিদাবাদের সাংসদ তৃণমূল নেতা আবু তাহের খান বলছেন, ‘‘শুভেন্দু অধিকারী কী টুইট করেছেন আমার জানা নেই। আর সিভিক ভলান্টিয়ার কী পোশাক পরবে, কী ভাবে চলবে সবটাই ঠিক করে পুলিশ। এর সঙ্গে রাজনীতির কোনও সংযোগ নেই।’’
তবে এই বিতর্ক থেকে বোঝা যাচ্ছে, সামনে পঞ্চায়েত নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ময়দান ক্রমশ তাতছে। তাতেই অস্বস্তি বাড়ছে মানুষের।