—প্রতীকী চিত্র।
সংরক্ষিত আসনে জাল জাতিগত শংসাপত্র (ওবিসি সার্টিফিকেট) ব্যবহার করে ভোটে লড়ার দায়ে তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যার সদস্যপদ বাতিল করল জেলা প্রশাসন। মুর্শিদাবাদের সুতি ২ ব্লকের উমরাপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের উমরাপুরের ১২ নং বুথের ১৩ নং সংসদে প্রার্থী হয়েছিলেন সুমনা দাস চৌধুরী। জিতেওছেন। ভোটের পর বামেরা অভিযোগ করে, সুমনা জাতিগত শংসাপত্র জাল করে প্রার্থী হয়েছিলেন। তার ভিত্তিতে তদন্ত ও দীর্ঘ শুনানি প্রক্রিয়ার পর জঙ্গিপুরের মহকুমাশাসক একাম জে সিংহ জানান, সুমনার সদস্যপদ বাতিল করা হয়েছে।
পঞ্চায়েত নির্বাচনের পর সুতি-২ ব্লকের ৭ নম্বর জেলা পরিষদের সিপিএম প্রার্থী মহম্মদ তফিজুল ইসলাম সুতি-২ বিডিও ও জঙ্গিপুরের মহকুমাশাসকের দফতরে সুমনার বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। মামলা করেন মহকুমাশাসকের আদালতে। অভিযোগের ভিত্তিতে গত বছর ৭ সেপ্টেম্বর অভিযুক্ত ও অভিযোগকারী-সহ সাক্ষীদের মহকুমাশাসকের দফতরে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হয়। অভিযুক্ত তৃণমূল পঞ্চায়েত সদস্যা তাঁর জাতিগত শংসাপত্র-সহ নথি নিয়ে হাজিরা দিলে শংসাপত্রটি জাল বলে প্রমাণিত হয়। মহকুমাশাসকের দফতর সূত্রে খবর, আধার ও ভোটার কার্ড বিকৃত করে জাল শংসাপত্র তৈরি করা হয়েছিল বলে স্বীকার করে নেন সুমনা।
সুমনার সদস্যপদ তো বাতিল হলই। তাঁর বিরুদ্ধে পুলিশকে মামলা দায়েরেরও নির্দেশ দেন মহকুমাশাসক। তার ভিত্তিতে তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যার ভারতীয় দণ্ডবিধির একাধিক ধারায় মামলা দায়ের হয়। অভিযোগকারী সিপিএম নেতা তফিজুল ইসলাম বলেন, ‘‘আমরা জালিয়াতির বিরুদ্ধে লড়াই করি। সাধারণ মানুষের জন্য লড়াই করি। সুমনা দাস চৌধুরী ওবিসি শংসাপত্র জাল করে তিনি মানুষের সঙ্গেই জালিয়াতি করেছেন। জালিয়াতি করা তৃণমূলের কাজ। সুমনা দাসের ওবিসি শংসাপত্র জাল করার পিছনে তৃণমূল নেতাদের বড় ভূমিকা রয়েছে। আমাদের লড়াই আমরা জিতবই। তৃণমূলের জালিয়াতি মানুষের সামনে এনে দিয়েছি।’’