Bhai dooj

দুধের দাম নাগালে, ভাইফোঁটায় রকমারি মিষ্টির চাহিদা তুঙ্গে

হরিহরপাড়া, নওদা, বেলডাঙার বিভিন্ন বাজারে রসগোল্লা, ছানাবড়া বিক্রি হচ্ছে মাপ অনুযায়ী ছ'থেকে থেকে দশ টাকা প্রতিটি দরে। দই বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৪০ টাকা কেজি।

Advertisement

মফিদুল ইসলাম

হরিহরপাড়া শেষ আপডেট: ১৫ নভেম্বর ২০২৩ ০৮:০২
Share:

ভাইফোটার মিষ্টি কিনতে ভিড় দোকানে। বহরমপুরে তোলা ছবি। ছবি: গৌতম প্রামাণিক।

আজ ভাইফোঁটা। ভাইফোঁটা মানেই আতিথেয়তা। ফলে ভাইফোঁটার আগের দিন থেকেই জেলার বিভিন্ন বাজারে মাছ, মাংস থেকে দই, মিষ্টির চাহিদা তুঙ্গে। দুধের দাম নাগালে থাকায় দই, মিষ্টির দামও রয়েছে নাগালে। ভাইয়ের পাতে আর যাই দেওয়া হোক না কেন, মিষ্টি অতি অবশ্যই দেওয়া হয়। এ বার তার সুযোগ মিলেছে ভাল। হরিহরপাড়ার এক মিষ্টান্ন ব্যবসায়ী সুখেন কুমার রানু বলেন, ‘‘উৎসবের মরসুমে এমনিতেই দই, মিষ্টির চাহিদা বেশি থাকে। তা ছাড়া ভাইফোঁটার আগের দিন থেকেই চাহিদাটা আরও বাড়ে। ফলে ভাইফোঁটাকে মাথায় রেখে বেশি পরিমাণে দই মিষ্টি তৈরি করা হয়েছে।"

Advertisement

হরিহরপাড়া, নওদা, বেলডাঙার বিভিন্ন বাজারে রসগোল্লা, ছানাবড়া বিক্রি হচ্ছে মাপ অনুযায়ী ছ'থেকে থেকে দশ টাকা প্রতিটি দরে। দই বিক্রি হচ্ছে ১২০ থেকে ১৪০ টাকা কেজি। তাছাড়া ভাইফোঁটার দিন সন্দেশ, কালাকাঁদ, মনোহরার মতো শুকনো মিষ্টির চাহিদা বেশি থাকে। ফলে অনেক মিষ্টান্ন ব্যবসায়ী বিভিন্ন ধরনের শুকনো মিষ্টি তৈরি করেছেন। নওদার মিষ্টান্ন ব্যবসায়ী করুণাকান্ত ঘোষ বলেন, ‘‘ভাইফোঁটা উপলক্ষে রকমারি মিষ্টি তৈরি করা হয়েছে। চাহিদাও বেশি রয়েছে।" গত কয়েক দিন ধরে বিভিন্ন ধরনের মিষ্টি তৈরিতে ব্যস্ত কারিগরেরা।

ভাইফোঁটা ঘিরে বিক্রি-বাট্টা আশা করছেন মফসসলের ব্যবসায়ীরা। মফসসলের পোশাক বিক্রেতারা বলছেন, এ বছর পুজোর বাজার সেই অর্থে জমেনি। তবে ভাইফোঁটায় ভাই-বোন, দাদা-দিদিদের একে অপরকে উপহার দেওয়ার চল রয়েছে। ফলে ভাইফোঁটার আগে দিন বিভিন্ন পোশাকের দোকানে ভিড় লক্ষ্য করা গিয়েছে।

Advertisement

আব্দুল আজিম নামে হরিহরপাড়ার এক পোশাক বিক্রেতা বলেন, ‘‘ভাইফোঁটার জন্য শাড়ি, পাঞ্জাবি ভালই বিক্রি হয়েছে।’’ নূপুর ভাস্কর নামে এক বোন বলে, ‘‘দাদার জন্য পাজামা, পাঞ্জাবি কিনেছি। পরিবারের অন্যান্যদের জন্যও পোশাক কিনেছি।’’ অন্যদিকে পাপন লাহিড়ী নামে এক দাদা বলেন, ‘‘বোনের জন্য শাড়ি, ভগ্নীপতি, ভাগ্নের জন্যও পোশাক কিনেছি। বছরে একটা দিন ধুমধামেই কাটে।’’

উৎসবের মরসুমে আনাজ, মাছ, মাংসের দাম নাগালে হওয়ায় স্বস্তিতে রয়েছে আমবাঙালি। তবে চাল, তেল মশলার দাম কিছুটা বৃদ্ধি পাওয়ায় হোঁচট খেতে হচ্ছে অনেককেই। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে মিনিকিট চালের দাম খুব একটা না বাড়লেও সাধারণ মানের চালের দাম বেড়েছে অস্বাভাবিক ভাবে। নওদার বাসিন্দা মলয় ঘোষ বলেন, " চাল, ডালের দাম কিছুটা বেশি হলেও আনাজ, মাছ, মাংসের দাম কম।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement