এখানেই তৈরি হওয়ার কথা বাসস্ট্যান্ড। নিজস্ব চিত্র।
আড়াই বছর আগে এলাকায় সরকারি বাস দাঁড়ানোর স্ট্যান্ড হবে বলে ঘোষণা হয়েছিল। কিন্তু তারপর থেকে প্রস্তাবিত প্রকল্পের জমি চিহ্নিত করার কাজ ছাড়া কিছুই হয়নি বলে অভিযোগ স্থানীয় বাসিন্দাদের। কান্দিতে ওই বাসস্ট্যান্ড করার ঘোষণা করেছিলেন রাজ্যের সদ্যপ্রাক্তন পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী।
বছর আড়াই আগে বহরমপুর কেন্দ্রের মধ্যে থাকা কান্দি বিধানসভা এলাকায় উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থার একটি স্থায়ী বাসস্ট্যান্ড করার কথা ঘোষণা করেছিল পরিবহণ দফতর। পরবর্তীকালে কান্দি শহরে বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন পূর্ত দফতরের কার্যালয়ের ভিতরে ওই জমি চিহ্নিত হয়। কিন্তু তারপর আর কোনও কাজ হয়নি বলে দাবি স্থানীয়দের। পূর্ত দফতরের অফিস চত্বরে একটি বাসস্ট্যান্ড হবে বলে নোটিস দেওয়া হয়েছিল তাদের। তাতে ওই জমি কী কাজে ব্যবহৃত হয়, সেই তথ্য জানতে চেয়েছিল রাজ্য পূর্ত দফতর। সেই রিপোর্ট পাঠানোর পর নতুন করে আর কিছু জানানো হয়নি বলে জানিয়েছেন জেলার পূর্ত বিভাগের আধিকারিকরা। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, বহরমপুর-দুর্গাপুর, বহরমপুর- মেদিনীপুর, কান্দি-কলকাতা, বহরমপুর-পুরুলিয়া-সহ একাধিক দূরপাল্লা রুটের সরকারি বাস যাতায়াত করে কান্দির ওপর দিয়ে। কিন্তু সেখানে বাসস্ট্যান্ড না থাকায় বাসগুলিকে যাত্রী তোলার জন্য রাস্তার ধারেই দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। ফলে যানজটের সৃষ্টি হয়।
দ্বারকা নদে রণগ্রাম সেতু বন্ধ থাকায় বর্তমানে সরকারি বাস কান্দি দিয়ে যাতায়াত করছে না। সেগুলি খড়গ্রামের শেরপুর, গাঁতলা, জীবন্তি হয়ে যাতায়াত করছে। কিন্তু বাসস্ট্যান্ড নির্মাণের কাজ শুরু না হওয়ায় স্থানীয়দের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। যুব কংগ্রেস নেতা নরোত্তম সিংহের কটাক্ষ, ‘‘কান্দিতে সরকারি বাসস্ট্যান্ড আজও হল না। ফের বিধানসভা ভোটের আগে বোধহয় ফের একবার বাসস্ট্যান্ডের প্রতিশ্রুতি দেবে ওরা।’’ তবে উত্তরবঙ্গ রাষ্ট্রীয় পরিবহণ সংস্থার চেয়ারম্যান তথা কান্দি পুরসভার প্রশাসক অপূর্ব সরকার বলেন, “বাসস্ট্যান্ড তৈরির জন্য পূর্ত দফতরের কাছে জমির ছাড়পত্রের জন্য আবেদন করা হয়েছে। তা পাওয়া গেলেই কাজ শুরু হবে।’’