মৃত বাসু দাস। নিজস্ব চিত্র
সংশোধনাগারে বন্দি বছর পঁচিশের এক তরুণের মৃত্যুর ঘটনায় বিক্ষোভ দেখালেন তাঁর পরিজনেরা। সংশোধনাগার সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার সকালে মৃত্যু হয় ওই বন্দির। বাসু দাস নামে ওই তরুণ কল্যাণীর মাঝেরচরের বাসিন্দা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বাসু মাস খানেক ধরে কল্যাণীর সংশোধনাগারে ছিলেন। শহরের এক চিকিৎসকের বাড়িতে ডাকাতির ঘটনায় অভিযুক্ত ছিলেন তিনি। সংশোধনাগার সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন সকাল সওয়া ৬টা নাগাদ বন্দিদের ঘর খোলা হয়। তার মিনিট দশেকের মধ্যেই বাসু আচমকা ছটফট করতে শুরু করেন। মিনিট পাঁচেক ছটফট করার পর সংশোধনাগার কর্তৃপক্ষ তাঁকে স্থানীয় জওহরলাল নেহরু মেমোরিয়াল মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে নিয়ে যান। পরীক্ষানিরীক্ষার পর সেখানকার চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
এর পর মাঝেরচর এলাকার বাসিন্দারা দফায় দফায় সংশোধনাগার, কল্যাণীর মহকুমা শাসকের অফিস এবং কল্যাণী থানার সামনে বিক্ষোভ দেখান। এলাকার লোকজন ও মৃতের পরিজনেরা দাবি করেন, মাস খানেক আগে যখন বাসুকে গ্রেফতার করা হয়েছিল, তখন ওর শরীরে কোনও সমস্যা ছিল না। তাঁদের অভিযোগ, বন্দিদের হাতে অত্যাচারিত হয়ে ওই তরুণ মারা গিয়েছেন। সংশোধনাগার কর্তৃপক্ষ অবশ্য সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তাঁদের তরফে জানানো হয়েছে, মিনিট পাঁচেকের মধ্যে বাসুকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সংশোধনাগারের দোতলায় থাকতেন বাসু। সংশোধনাগারের এক কর্মী বলেন, ‘‘ঘরের দরজা খোলার সঙ্গেই সঙ্গেই বাসু ছটফট করছিল। প্রথমে সকলে ভেবেছিলেন মৃগী জাতীয় কিছু হয়েছে। খানিকক্ষণের মধ্যেই বাসু মারা গেল।’’
সংশোধনাগারের কন্ট্রোলার পার্থ ঘোষ বলেন, ‘‘আমি নিজে সঙ্গে সঙ্গে বাসুকে হাসাপাতালে নিয়ে গিয়েছিলাম। খুবই দুঃখজনক ঘটনা। আর এখানে বন্দিদের মধ্যে কোনও ঝামেলাই হয়নি। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পাওয়ার পর পুরো বিষয়টা বোঝা যাবে।