(বাঁ দিকে) রণবীর কপূর, বিবেক ওবেরয় (ডান দিকে)। ছবি: সংগৃহীত।
কেরিয়ারের মধ্যগগনে পৌঁছেও থমকে যেতে হয়েছিল বিবেক ওবেরয়কে। ‘সাথিয়া’, ‘কোম্পানি’ ‘প্রিন্স’, ‘মাস্তি’— একের পরে এক সফল ছবির পরেও দীর্ঘ দিন বলিউড থেকে দূরে থাকতে হয়েছিল তাঁকে। বি-টাউনে তাঁর সঙ্গে সলমন খানের কলহের কথা প্রায় সকলেরই জানা। ভাইজানের থেকে হুমকিও পেয়েছিলেন বলে অভিযোগ করেন এক সময়। বিবেকের মধ্যে সম্ভাবনা দেখেছিলেন পরিচালক-প্রযোজকরা। কিন্তু ঐশ্বর্যা-সলমনের প্রেমের মাঝে পড়েই নাকি কেরিয়ারে এমন ক্ষতি হয়েছে বিবেকের, মত সিনেমহলের। যদিও পরবর্তীকালে প্রর্ত্যাবর্তন হয়েছে বিবেকের। সিনেমা থেকে ওয়েব সিরিজ়, কাজ করছেন বিভিন্ন মাধ্যমে। তবে সে কাজের বহর খুব চোখে পড়ার মতো নয়। কিন্তু তা সত্ত্বেও রণবীর থেকে অল্লু অর্জুন— সম্পত্তির দিক থেকে তাঁদের সমতুল্য বিবেক। প্রায় ১২০০ কোটি টাকার সম্পত্তির অধিকারী সে।
সলমনের সঙ্গে বিচ্ছেদের পরে বিবেকের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান ঐশ্বর্যা রাই। এই নিয়েই সলমনের সঙ্গে সমস্যার সূত্রপাত। এক সাংবাদিক সম্মেলনে বিবেক জানিয়েছিলেন, সলমন ফোন করে তাঁকে হুমকি দিয়েছেন। পরে সলমনের কাছে এই নিয়ে এক পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে ক্ষমাও চেয়েছিলেন বিবেক। সেই সময় কী ভাবে একের পর এক কাজ হারিয়েছিলেন, তা নিয়ে কথাও বলেছিলেন বিবেক। সর্বশেষ ছবি ‘শুট আউট অ্যাট লোখান্ডওয়ালা’-র পরে টানা ১৪ মাস বাড়িতে বসেছিলেন বিবেক। হাতে তাঁর কোনও কাজ ছিল না। এই সময়কে জীবনের সবচেয়ে অন্ধকার দিক হিসাবেও তিনি মনে করেন। যদিও ফের কাজে ফিরেছেন। ‘ইনসাইনড এজ’ সিরিজ়ে দেখা গিয়েছে। দক্ষিণ ভারতেও কাজ করেছেন তিনি। মোহনলালের সঙ্গে ‘লুসিফার’ ছবিতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। তবে সিনেমার বাইরে বিবেকের আয় রয়েছে, কারণ গত কয়েক বছরে নিজের ব্যবসা শুরু করেছেন তিনি। অভিনেতার জমি-বাড়ি সংক্রান্ত ব্যবসা রয়েছে। এছাড়াও ইভেন্ট ম্যানেজেমন্ট সংস্থা রয়েছে। মারজান দ্বীপে ২৩০০ একরের উপর সম্পত্তি রয়েছে। পাশাপাশি একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-প্রতিষ্ঠাতা তিনি। এছাড়াও বিনিয়োগের ব্যবসা রয়েছে তাঁর।