কবর থেকে তোলা হচ্ছে দেহ। — নিজস্ব চিত্র।
আদালতের নির্দেশে কবর থেকে তুলে মহিলার দেহ পাঠানো হল ময়নাতদন্তে। মঙ্গলবার এই ঘটনা ঘটেছে মুর্শিদাবাদের সুতিতে। ওই মহিলাকে খুনের অভিযোগ উঠেছে তাঁর স্বামীর বিরুদ্ধে। এ নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিল পরিবার।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ২৩ জানুয়ারি রহস্যজনক ভাবে মৃত্যু হয়েছিল সুতি থানার মহেন্দ্রপুর গ্রামের বাসিন্দা ফিরোজা খাতুন নামে এক মহিলার। পর দিন অর্থাৎ ২৪ জানুয়ারি ফিরোজাকে লুকিয়ে কবর দেওয়ার অভিযোগ ওঠে তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে। তিন সন্তান রয়েছে ওই মহিলার। ওই মহিলার বাড়ির লোকজনের অভিযোগ, ফিরোজাকে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে। ওই ঘটনায় অভিযোগ ফিরোজার স্বামী জাহাঙ্গির আলমের বিরুদ্ধে। এ নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয় ফিরোজার পরিবার। মঙ্গলবার আদালতের নির্দেশ মতো সুতি থানার পুলিশ এবং শমসেরগঞ্জের বিডিও’র উপস্থিতিতে ফিরোজার দেহ কবর থেকে তোলা হয়। এ নিয়ে কড়া নিরাপত্তার আয়োজন করা হয় মহেন্দ্রপুরে।
ফিরোজার কাকা আসমত আলি বলেন, ‘‘ওর দেহ দেখতে এসে প্রথমে আমরা ভেবেছিলাম আমাদের মেয়ে হৃদ্রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছে। পরে আমাদের সন্দেহ হয়। তাই আমরা আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলাম। আজকে দেহ তুলে ময়নাতদন্ত হল। এ বার ফিরোজার মৃত্যুর আসল কারণ জানা যাবে।’’
জঙ্গিপুর পুলিশ জেলার সুপার ভোলানাথ পাণ্ডে বলেন, ‘‘প্রথমে পরিবারের পক্ষ থেকে কোনও অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। পরবর্তী কালে আদালত যেমন নির্দেশ দিয়েছে সেই মতো কাজ হচ্ছে।’’