কলেজছাত্রীর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার। প্রতীকী চিত্র।
নিয়োগ দুর্নীতিতে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআইয়ের হাতে গ্রেফতার হয়েছেন মামা। আদালতের রায়ে চাকরি গিয়েছে মা এবং মাসির। এর মধ্যেই রবিবার উদ্ধার হল ছাত্রীর ঝুলন্ত দেহ। মুর্শিদাবাদের বড়ঞায় রবিবারের ঘটনা। পুলিশ ময়নাতদন্তের জন্য দেহ পাঠিয়েছিল। মঙ্গলবার সেই দেহ হাতে পেয়েছে পরিবার।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার বড়ঞা থানার কোগ্রামের বাসিন্দা রিয়াঙ্কা ঘোষ (১৯)-এর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয় তাঁর ঘর থেকে। রিয়াঙ্কা বীরভূমের বোলপুর কলেজের স্নাতকস্তরে দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী ছিলেন। কিছু দিন আগে নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগে রিয়াঙ্কার মামা কৌশিক ঘোষকে গ্রেফতার করে সিবিআই। ওই কলেজছাত্রীর মা বিভা ঘোষ লাভপুর সত্যনারায়ণ হাই স্কুলে গ্রুপ সি পদে চাকরি করতেন। বিভার বোন ডালিয়া ঘোষ মণ্ডল বীরভূমের কুনুটিয়া জ্যোতিষচন্দ্র হাই স্কুলে গ্রুপ সি পদে কর্মরত ছিলেন। কিন্তু সম্প্রতি আদালতের নির্দেশে চাকরি খুইয়েছেন রিয়াঙ্কার মা এবং মাসি। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার রিয়াঙ্কা সকাল থেকেই ছিলেন নিজের ঘরে। দুপুরে খাওয়ার জন্য ডাকতে গিয়ে ঘরে তাঁকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পাওয়া যায়। বড়ঞা থানার পুলিশ খবর পেয়ে দেহ উদ্ধার করে। পরে দেহ পাঠানো হয় ময়নাতদন্তের জন্য।
ওই ছাত্রীর অস্বাভাবিক মৃত্যু ঘিরে তৈরি হয়েছে নানা প্রশ্ন। প্রতিবেশীদের অনেকের মতে, মা-মামা-মাসিদের ঘটনায় পারিবারিক সম্মান ক্ষুণ্ণ হয়েছে বলে মনে করতেন রিয়াঙ্কা। সে কারণেই তিনি এমন সিদ্ধান্ত নিতে পারেন বলে মনে করছেন অনেকেই। কেউ কেউ বলছেন এই সব ঘটনায় মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন ওই কলেজছাত্রী। তবে এ সব নিয়ে প্রকাশ্যে তাঁরা কোনও কথা বলতে চাননি। মুর্শিদাবাদ পুলিশ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুবিমল পাল বলেন, ‘‘দেহের ময়নাতদন্ত হয়েছে। অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলার রুজু করে তদন্ত শুরু হয়েছে।’’ তদন্তকারীদের প্রাথমিক অনুমান, ওই ছাত্রী আত্মঘাতী হয়েছেন। সমস্ত দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।