Cyclone Amphan

টাকা তৃণমূল সদস্যের ছেলের অ্যাকাউন্টে

অভিযোগ, নাকাশিপাড়া ব্লকের বিলকুমারি পঞ্চায়েতের অধীনে যাঁরা আমপানের ক্ষতিপূরণ পেয়েছেন তাঁদের কারও ঘরের ক্ষয়ক্ষতি হয়নি এবং প্রাপকদের মধ্যে অনেকের পাকা একতলা বা দোতলা বাড়ি রয়েছে। 

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা 

শেষ আপডেট: ০২ জুলাই ২০২০ ০৬:৩৬
Share:

প্রতীকী ছবি

আমপানের ক্ষতিপূরণ নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ উঠল তৃণমূল-পরিচালিত বিলকুমারি পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে। ওই পঞ্চায়েতের বিরোধী দলনেত্রী বিজেপির কাকলি মণ্ডল নাকাশিপাড়ার বিডিওর কাছে এই বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।

Advertisement

তাঁর অভিযোগ, নাকাশিপাড়া ব্লকের বিলকুমারি পঞ্চায়েতের অধীনে যাঁরা আমপানের ক্ষতিপূরণ পেয়েছেন তাঁদের কারও ঘরের ক্ষয়ক্ষতি হয়নি এবং প্রাপকদের মধ্যে অনেকের পাকা একতলা বা দোতলা বাড়ি রয়েছে।

তাঁর আরও অভিযোগ, আমপানের ক্ষতিপূরণের আবেদনের ক্ষেত্রে যে চার জনের কমিটি তৈরি করা হয়েছিল তাতে বিরোধী দলনেতাকেও রাখার কথা। কিন্তু কোনও আবেদনেই বিরোধী দলনেত্রীকে সই করানো হয়নি। তাঁর কথায়, ‘‘যাঁরা টাকা পেয়েছেন তাঁদের অনেকেই পঞ্চায়েতে শাসক দলের সদস্যের আত্মীয়।’’ বিলকুমারি পঞ্চায়েতের তৃণমূলের সদস্য সাদিকুর রহমানের ছেলে সাজিদ হোসেনও আমপানের ক্ষতিপূরণের টাকা পেয়েছেন বলে অভিযোগ। এই বিষয়ে সাদিকুর রহমানের ছেলে সাজিদ হোসেনকে ফোন করা হলে তিনি বলেন, ‘‘আমার পাকাবাড়ি নেই। বাবার পাকাবাড়ি রয়েছে। আমি কর্কেটের চালের বাড়িতে থাকি। ঝড়ে সেই বাড়ির ক্ষতি হয়েছে বলেই টাকার জন্য আবেদন করেছিলাম।"ওই এলাকার পঞ্চায়েত সমিতির এক সদস্য জানকি বাড়ুই এর শ্বশুর জুরান বাড়ুইও টাকা পেয়েছেন বলে অভিযোগ। তাঁকে ফোন করা হলে ফোন ধরেন তাঁর ছেলে জগদীশ বাড়ুই। তিনি বলেন, ‘‘ওটা ভুল করে হয়েছিল। তবে ওই টাকা আমরা ফেরত দিয়ে দিয়েছি।’’ এই বিষয়ে কাকলি মণ্ডলের বক্তব্য, ‘‘এলাকায় প্রায় সকলেই ভুল তথ্য জানিয়ে টাকা পেয়েছেন এবং আবেদন আমার সই ছাড়াই জমা পরেছে। যাঁরা প্রকৃত ক্ষতিগ্রস্ত তাঁদের ক্ষতিপূরণ দিয়ে বাকিদের টাকা ফেরত নেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।" নাকাশিপাড়ার বিডিও কল্লোল বিশ্বাস এ ব্যাপারে বলেন, ‘‘তালিকা নিয়ে তদন্ত চলছে। এ পর্যন্ত ১৯ জন টাকা ফেরত দিয়েছেন।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement