প্রতীকী চিত্র।
জাতীয় জনপঞ্জির (এনপিআর) বিরোধিতা করে আগেই একাধিক কর্মসূচি নিয়েছে তৃণমূল। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এসেও জনপঞ্জির জন্য তথ্য না দেওয়ার আবেদন জানিয়ে গিয়েছেন। এ বার এনপিআর-এর জন্য তথ্য না দেওয়ার আবেদন নিয়ে বাড়ি-বাড়ি যাচ্ছে সিপিএম।
সিপিএমের আর্জি: জনগণনার জন্য সরকার তথ্য চাইলে দেবেন। কিন্তু তার বাইরে জনপঞ্জির জন্য আলাদা করে তথ্য চাইলে তা দেবেন না। নদিয়া জেলার নানা জায়গায় সিপিএম কর্মীরা এলাকার মানুষের বাড়ি-বাড়ি যাচ্ছেন। বেশ কয়েক জায়গায় ইতিমধ্যে এই কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে। জেলা জুড়েই প্রচার চলবে বলে জেলা দল সূত্রে জানা গিয়েছে।
সিপিএম বলছে: দুই ধরনের প্রশ্নমালা থাকছে। যার মধ্যে প্রথমটা জনগণনার জন্য। এতে সাতটি প্রশ্ন আছে। এর উত্তর দেওয়া দরকার। কিন্তু দ্বিতীয় ধরনের প্রশ্নমালায় আছে ২১টি প্রশ্ন। সেটি এনপিআর-এর জন্য। কেন্দ্রীয় সরকার এনপিআর ফর্মে নতুন কিছু জিনিস যুক্ত করেছে। এরমধ্যে আছে, বাবা-মায়ের জন্মস্থান, জন্ম-তারিখের মত বিষয়ও। এই অংশের উত্তর দিতেই নাগরিকদের বারণ করছে সিপিএম।
জনগণনার জন্য যে প্রশ্নাবলি আছে, সেগুলি নিয়ে আপত্তি করা না হলেও জনপঞ্জির জন্য আলাদা করে সতর্ক করা হচ্ছে। সেই সঙ্গে লিফলেটও বিলি করা হচ্ছে।
সিপিএমের তাহেরপুর এরিয়া কমিটির সম্পাদক সুপ্রতীপ রায় বৃহস্পতিবার বলেন, ‘‘জনগণনার কাজের বিরোধী নই আমরা। তাই সেই কাজে সাহায্য করা হবে। কিন্তু এর ফাঁকে যাতে এনপিআর-এর জন্য সরকার আলাদা করে তথ্য না নিতে পারে, তার জন্য প্রচার চালাচ্ছি।’’ দলের ফুলিয়া এরিয়া কমিটির সম্পাদক অনুপ ঘোষের দাবি, ‘‘কেন্দ্র এই জনপঞ্জির উত্তরমালা ব্যবহার করে এনআরসি চালু করবে। তা ছাড়া, বাবা-মায়ের জন্মস্থান, জন্মতারিখ এই ধরনের তথ্য অনেকেরই জানা না-ও থাকতে পারে। সেখানে কোনও ভুল উত্তরও সমস্যা তৈরি করবে। তাই আমরা এর বিরোধিতা করছি।’’
গত কয়েকটি নির্বাচনে নদিয়ায় ক্রমশ ক্ষয়িষ্ণু হয়েছে সিপিএমের ভোটব্যাঙ্ক। তাদের হাত থেকে তৃণমূল বিরোধী ভোট ছিনিয়ে পুষ্ট হয়েছে বিজেপি। ফলে পুরভোটের আগে জনপঞ্জি নিয়ে কর্মসূচি করতে নেমে জনসংযোগও করছে সিপিএম।
দলের জেলা সম্পাদক সুমিত দে বলেন, “বিজেপি মানুষকে বিভ্রান্ত করছে, বিবৃতি বদল করছে। পশ্চিমবঙ্গ সরকার বাধ্য হয়েছে নোটিস দিয়ে এনপিআর স্থগিত রাখতে। আমরা মানুষকে এর বিপদ সম্পর্কে সচেতন করতে চাইছি। নাগরিক যারা তারাই তো ভোটার, তাঁদের আবার নতুন করে পরীক্ষা দেওয়ার দরকার নেই।”
সপ্তাহখানেক আগে নদিয়ায় এসে প্রকাশ্য সভা থেকেই জনপঞ্জির জন্য তথ্য জানাতে নিষেধ করে গিয়েছেন মমতা। তৃণমূলের রানাঘাট সাংগঠনিক জেলার সভাপতি শঙ্কর সিংহ বলেন, “আমাদের কর্মীরাও নাগরিকদের সচেতন করার জন্য বুথস্তরে মিটিং-মিছিল করছেন, বাড়ি-বাড়ি গিয়ে কথা বলছেন।” বিজেপির নদিয়া দক্ষিণ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি অশোক চক্রবর্তী অবশ্য দাবি করেন, ‘‘দেশের জাতীয়তাবাদের সঙ্গে সবচেয়ে বেশি বিশ্বাসঘাতকতা করেছে সিপিএম। আর আজকাল ওরা তৃণমূলের