‘নবরত্ন’ মাঠে নামিয়ে খেলা শুরু সিপিএমের

শরিকদের সঙ্গে এখনও হিসেব-নিকেশ শেষ হয়নি। কংগ্রেসের সঙ্গে আসন সমঝোতাও নয়। ও দিকে, ফাঁকা দেওয়াল ভরাতে নেমে পড়েছে তৃণমূল। এই অবস্থায় জেলার ১৭টি বিধানসবা আসনের মধ্যে ৯টিতে প্রার্থী ঘোষণা করে ভোটের ময়দানে নেমে পড়ল সিপিএম।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কৃষ্ণনগর শেষ আপডেট: ০৮ মার্চ ২০১৬ ০১:৪১
Share:

নামের অপেক্ষায়। নিজস্ব চিত্র

শরিকদের সঙ্গে এখনও হিসেব-নিকেশ শেষ হয়নি। কংগ্রেসের সঙ্গে আসন সমঝোতাও নয়। ও দিকে, ফাঁকা দেওয়াল ভরাতে নেমে পড়েছে তৃণমূল। এই অবস্থায় জেলার ১৭টি বিধানসভা আসনের মধ্যে ৯টিতে প্রার্থী ঘোষণা করে ভোটের ময়দানে নেমে পড়ল সিপিএম।

Advertisement

প্রকাশ্যে কংগ্রেসের সঙ্গে জোট হবে কি না, হলে তা কবে ঘোষণা করা হতে পারে, তা নিয়ে ধোঁয়াষা এখনও কাটেনি। কিন্তু যে আটটি আসন সিপিএম ছেড়ে রেখেছে, তার মধ্যে থেকেই যে কংগ্রেসকে আসন ছাড়া হবে, তা কার্যত পরিষ্কার। অর্থাৎ বাকি আটটি আসন বামশরিক ও কংগ্রেসের মধ্যে ভাগাভাগি হবে। তবে সিপিএম যে আরও দু’একটি আসনে নিজে প্রার্থী দেবে না, তারও কোনও নিশ্চয়তা নেই। প্রয়োজন হলে সরাসরি প্রার্থী না দিয়ে বাম সমর্থিত নির্দল প্রার্থী দাঁড় করানো হতে পারে।

প্রত্যাশিত ভাবেই, উত্তর নদিয়ার তিন কেন্দ্র করিমপুর, তেহট্ট ও পলাশিপাড়ায় আগের বারের জয়ী প্রার্থীদের ক্ষেত্রে কোনও বদল ঘটায়নি সিপিএম। বাকি ছ’টি কেন্দ্রের মধ্যেও দু’টিতে পুরোনো প্রার্থীরাই বহাল রয়েছেন। চাপড়ায় সামসুল ইসলাম মোল্লা এবং নবদ্বীপে সুমিত বিশ্বাস গত বার হারলেও এ বারও তাঁদের উপরেই ভরসা রেখেছে দল। বাকি চার জন নতুন প্রার্থীর মধ্যে রয়েছেন নদিয়া জেলা পরিষদের প্রাক্তন সভাপধিপতি মেঘলাল শেখ। তাঁকে কৃষ্ণনগর দক্ষিণ কেন্দ্র থেকে দাঁড় করানো হয়েছে। রানা ঘাট উত্তর-পূর্বে দাঁড়িয়েছেন তরুণ প্রার্থী বাবুসোনা সরকার, এসএফআইয়ের রাজ্য কমিটির সদস্য তিনি। প্রাক্তন সাংসদ অলোকেশ দাস বিধানসভায় প্রথম লড়ছেন, তাঁর নিজের মাঠ কল্যাণী থেকেই। হরিণঘাটার প্রার্থী অজয় দাস পেশায় পার্শ্বশিক্ষক, ডিওয়াইএফের জেলা সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য।

Advertisement

সব আসনে তো এখনও প্রার্থী দেওয়া হয়নি। ন’জনকে আগেভাগে বেছে নেওয়া হল কীসের ভিত্তিতে? এঁরা কি সিপিএমের ‘নবরত্ন’? দলের জেলা সম্পাদক সুমিত দে বলেন, ‘‘তৃণমূলকে হারানোর জন্য যেখানে যাঁকে দাঁড় করানো দরকার, তাঁকেই প্রার্থী করা হয়েছে। বাকি সব আসনে প্রার্থী দেওয়ার জন্য রাজ্যের গণতান্ত্রিক ও ধর্মনিরপেক্ষ দলগুলির সঙ্গে আলোচনা চলছে। রাজ্য নেতৃত্ব যে পথে এগোবেন, আমরাও একই রাস্তা নেব।’’

তবে, তৃণমূলের জেলা সভাপতি গৌরীশঙ্কর দত্তের দাবি, ‘‘ওরা যে সব প্রার্থী দাঁড় করিয়েছে, আমাদের ১৭টি আসনই নিশ্চিত হয়ে গেল।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement