—নিজস্ব চিত্র।
পঞ্চায়েতগুলিতে বোর্ড গঠনের প্রবণতা দেখে বিজেপি নেতারা একপ্রকার নিশ্চিতই ছিলেন যে, বামেদের সমর্থনে সমিতির দখল নিতে চলেছে তারা। সে ভাবে প্রস্তুতিও সেরে রেখেছিল দল। কেজি কেজি গেরুয়া আবির মজুত করা হয়েছিল দলীয় কার্যালয়ে। কিন্তু বিজেপির নেতা-কর্মীদের হতাশ করে নদিয়ার তেহট্ট-১ পঞ্চায়েত সমিতি দখল করল তৃণমূল ও সিপিএমের ‘জোট’। শাসকদলের সমর্থনে সভাপতি হলেন সিপিএমের সদস্য। সহ-সভাপতি পদ পেল তৃণমূল।
তেহট্ট-১ পঞ্চায়েত সমিতি ৩৩টি আসনের মধ্যে বিজেপি ১৩, সিপিএম ও তৃণমূল ন’টি করে ও কংগ্রেস দু’টি আসন পায়। সোমবার এই পঞ্চায়েত সমিতির বোর্ড গঠন ছিল। কংগ্রেস এবং তৃণমূলের সমর্থনে সভাপতি হন সিপিএমের ইমরান শেখ আর সহ-সভাপতি হন তৃণমূলের উত্তম বিশ্বাস। ঘটনাচক্রে, তেহট্ট-১ পঞ্চায়েত সমিতির অন্তর্গত ১১টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে ছ’টি গ্রাম পঞ্চায়েত ত্রিশঙ্কু ছিল। সেই সব ক’টিতেই সিপিএম, বিজেপি জোট করে ক্ষমতা দখল করে। বিজেপি নেতারা আশা করেছিলেন, পঞ্চায়েত সমিতিতেও তারা সিপিএমের সঙ্গে জোট করে বোর্ড গড়বেন। কিন্তু ঠিক তার উল্টো ছবি দেখা গেল। ভোটাভুটির পর দেখা যায়, ২০-১৩ ভোটে জয়ী হয়েছেন ইমরান। একই ব্যবধান জিতেছেন উত্তমও।
বিজেপির কৃষ্ণনগর সাংগঠনিক জেলা সভাপতি অর্জুন বিশ্বাস বলেন, ‘‘জনমতের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করল সিপিএম। তৃণমূলকে রোখার প্রশ্নে আমরা দায়িত্বশীল ভূমিকা নিলেও স্বার্থান্বেষী ভূমিকা গ্রহণ করল বামেরা।’’
পাল্টা সিপিএমের এরিয়া কমিটি সম্পাদক সুবোধ বিশ্বাস বলেন, ‘‘আমাদের পক্ষ থেকে পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি পদে প্রার্থী দেওয়া হয়েছিল। যাঁদের মনে হয়েছে ধর্মনিরপেক্ষ শক্তিকে সমর্থন করা প্রয়োজন, তাঁরা সমর্থন করেছেন।’’ তৃণমূল নেতা জুলফিকার আলি খান বলেন, ‘‘জেপিকে রুখতে ধর্মনিরপেক্ষ শক্তিকে সমর্থন করেছি আমরা। দায়িত্বশীল রাজনৈতিক দলের ভূমিকায় পালন করেছি।’’