প্রতীকী ছবি।
বাম ও কংগ্রেসের মধ্যে জোট করে আসন সমঝোতার সম্ভাবনা নাকচ করে দিল সিপিএম। কংগ্রেস অবশ্য আসন সমঝোতার সম্ভাবনা পুরোপুরি নাকচ করেনি। কোনও কোনও পুরসভায় বাম ও কংগ্রেসের মধ্যে সমঝোতা হলেও হতে পারে বলে ইঙ্গিত দিয়েছে।
মুর্শিদাবাদের ডোমকল ছাড়া বাকি ৭টি পুরসভায় ২৭ ফেব্রুয়ারি ভোট হওয়ার কথা আনুষ্ঠানিক ভাবে বৃহস্পতিবারই জানিয়ে দিয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। ৯ ফেব্রুয়ারি মনোনয়ন পত্র দাখিলের শেষ দিন। অর্থাৎ হাতে মাত্র ৬টি দিন। কোনও দলই এখনও পর্যন্ত মুর্শিদাবাদ জেলার প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করতে পারেনি।
সিপিএম ও কংগ্রেসের মধ্যে বিধানসভায় একটি আসন ছাড়া সর্বত্রই সমঝোতা হয়েছিল। কিন্তু সে সমঝোতা কোনও কাজেই আসেনি। বৃহস্পতিবার পুর নির্বাচন ঘোষণার পরই সিপিএমের জেলা সম্পাদক জামির মোল্লা বলেন, “পুর নির্বাচনে কোনও আসন সমঝোতা হচ্ছে না এ জেলায় কংগ্রেসের সঙ্গে। তৃণমূল ও বিজেপিকে হারাতে যদি কোথাও কোনও ধর্ম নিরপেক্ষ প্রার্থীকে সমর্থন করার দরকার পড়ে তবে তা করবে বামেরা, তাতে তিনি নির্দল প্রার্থীও হতে পারেন। জেলায় এবারে বামফ্রন্ট গত ভাবেই লড়ব আমরা।”
কংগ্রেসের জেলার সাধারণ সম্পাদক জয়ন্ত দাস বলেন, “সামগ্রিক ভাবে বামেদের সঙ্গে কোনও আসন সমঝোতায় যাচ্ছে না কংগ্রেস। স্থানীয় ভাবে কোথাও যদি সেখানকার নেতারা সমঝাতায় যান তবে কংগ্রেস আপত্তিও করবে না। স্থানীয় নেতারাই ঠিক করবেন তাদের করণীয় কী? প্রার্থী তালিকার ক্ষেত্রেও দলের স্থানীয় নেতাদের পরামর্শকেই গুরুত্ব দেবে দল।”
গতবছরের শেষ বিধানসভার নির্বাচনী ফলাফল অনুযায়ী, জেলায় ৭টির মধ্যে ৫টি পুরসভাতেই বিজেপি সবচেয়ে বেশি ভোট পেয়ে এগিয়ে রয়েছে। তবু জেলার যা রাজনৈতিক অবস্থান, তাতে এবারের পুরনির্বাচনে বেশির ভাগ আসনেই লড়াই হবে চতুর্মূখী। ২০১৫ সালের পুর নির্বাচনে একটিতেও সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায়নি তৃণমূল। এ বার জোর লড়াই হবে।