প্রতীকী চিত্র।
বোমাবাজির অভিযোগে গ্রেফতার সিপিএমের গ্রাম পঞ্চায়েত প্রার্থী। অভিযুক্ত ইদ মহম্মদকে বুধবার কান্দি মহকুমা আদালতে হাজির করানো হয়। বিচারক ধৃতের পাঁচ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। ভোটের আগে বিরোধী প্রার্থীর গ্রেফতারিতে রাজনৈতিক ষড়যন্ত্রের অভিযোগ তুলেছে বামেরা। শাসক তৃণমূলের পাল্টা বক্তব্য, আইন অনুযায়ীই পদক্ষেপ করা হচ্ছে। মুর্শিদাবাদ পুলিশ জেলার সুপার সুরিন্দর সিংহ বলেন, ‘‘অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা রুজু করা হয়েছে। তদন্ত চলছে।’’
স্থানীয় সূত্রে খবর, মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে দফায় দফায় সিপিএম ও তৃণমূল সংঘর্ষে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে মুর্শিদাবাদের সালার থানার কাগ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার ধনডাঙা গ্রাম। দুই পক্ষের বোমাবাজির ঘটনায় আহত হন সিপিএম ও তৃণমূলের এক জন করে কর্মী-সমর্থক। তৃণমূলের অভিযোগ ছিল, বামেদের মিছিল থেকে তাদের দলের কর্মী-সমর্থকদের মিছিলে হামলা চালানো হয়। ছোড়া হয় বোমাও। অন্য দিকে, বামেদের অভিযোগ, নির্বাচনী প্রচার চলাকালীন বিনা প্ররোচনায় তাদের মিছিল লক্ষ্য করে বোমা ছোড়ে শাসকদলের কর্মী-সমর্থকেরা। অভিযোগ, পাল্টা অভিযোগে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। ঘটনাস্থলে পৌঁছয় সালার থানার পুলিশ। অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করা হয় চার জনকে। তাঁদের মধ্যে এক জন হলেন বাম প্রার্থী ইদ ওরফে বুলেট।
সিপিএমের মুর্শিদাবাদ জেলা সম্পাদক জামির মোল্লা বলেন, ‘‘নিশ্চিত পরাজয় বুঝে ভোট বানচাল করতে প্রার্থীকে গ্রেফতারের ষড়যন্ত্র করেছে তৃণমূল এবং পুলিশ। গণতান্ত্রিক পথে এর মোকাবিলা করা হবে।’’ পাল্টা বহরমপুর সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের সভানেত্রী শাওনি সিংহ রায় বলেন, ‘‘আইন ভঙ্গ করলে বিধি অনুযায়ী তার ব্যবস্থা নেবে পুলিশ। এখানে তৃণমূলের বলার কিছু নেই।’’