—নিজস্ব চিত্র।
পঞ্চায়েত ভোট পরবর্তী ‘হিংসা’য় উত্তপ্ত হল মুর্শিদাবাদের রানিনগর। সেখানে এ বার সংঘর্ষে জড়াল সিপিএম-বিজেপি। বৃহস্পতিবার ইসলামপুর থানার বনমালি ঘাট এলাকায় বিজেপি কর্মীদের বাড়িতে ঢুকে হামলা চালানোর অভিযোগ উঠল সিপিএমের বিরুদ্ধে। ধারালো অস্ত্রের কোপে পাঁচ দলীয় কর্মী জখম হয়েছেন বলেও দাবি গেরুয়া শিবিরের। সিপিএম নেতৃত্ব অবশ্য হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
বিজেপির অভিযোগ, পঞ্চায়েত নির্বাচনে মাত্র ১৫ ভোটে হেরে গিয়েছিলেন এলাকার বিজেপি প্রার্থী। তার পর থেকেই সিপিএমের লোকেরা বিজেপির কর্মী-সমর্থকদের হুমকি দিচ্ছিলেন। এর পর বৃহস্পতিবার এলাকার কয়েক জন বিজেপি কর্মীর বাড়িতে ধারালো অস্ত্র দিয়ে হামলা চালায় সিপিএম আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। বিজেপির দাবি, এই ঘটনায় তাদের পাঁচ জন কর্মী জখম হয়েছেন। তাঁদের গোধনপাড়া গ্রামীণ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। অবস্থার অবনতি হওয়ায় দু’জনকে স্থানান্তরিত করা হয় মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। রবীন্দ্র মণ্ডল নামে এক বিজেপি কর্মীর অবস্থা আশঙ্কাজনক বলেই দাবি করেছে বিজেপি। এ প্রসঙ্গে বিজেপির মুর্শিদাবাদ সাংগঠনিক জেলা সভাপতি শাখারভ সরকার বলেন, ‘‘তৃণমূলের বি-টিম হিসেবে কাজ করছে সিপিএম। বেঙ্গালুরুর বৈঠকের পর তৃণমূল-সিপিএম আরও হিংস্র হয়ে উঠেছে।’’
হামলার অভিযোগ অস্বীকার করে সিপিএমের মুর্শিদাবাদ জেলা কমিটি সম্পাদক জামির মোল্লা পাল্টা বলেন, ‘‘ভোটের পর থেকেই তৃণমূলের মদতে বিজেপির কিছু স্থানীয় দুষ্কৃতী এলাকা অশান্ত করার চেষ্টা করছে। এর সঙ্গে বামেদের কোনও যোগ নেই।’’