R G Kar Protest

বারো ঘণ্টার প্রতীকী অনশনে বামেরা

উৎসবের মধ্যেও যে নারী নির্যাতন নিয়ে আন্দোলনে ভাটা পড়বে না, তার ইঙ্গিত সিপিএম নেতৃত্ব আগেই দিয়েছিলেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

তাহেরপুর শেষ আপডেট: ১৫ অক্টোবর ২০২৪ ০৮:৫১
Share:

—প্রতীকী চিত্র।

আর জি করে চিকিৎসকের ধর্ষণ-মৃত্যু থেকে দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার বিভিন্ন প্রান্তে নারী নির্যাতনের ঘটনা। ওই সব নিয়ে এবারে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনের সুর চড়াল সিপিএম। জেলার একমাত্র বাম দুর্গ তাহেরপুরে রবিবার দলটি ১২ ঘণ্টার প্রতীকী অনশন করে। পুরপ্রধান-সহ তাহেরপুরের একাধিক সিপিএম নেতৃত্ব ও পুরপ্রতিনিধিরা হাজির ছিলেন সেখানে।

Advertisement

উৎসবের মধ্যেও যে নারী নির্যাতন নিয়ে আন্দোলনে ভাটা পড়বে না, তার ইঙ্গিত সিপিএম নেতৃত্ব আগেই দিয়েছিলেন। একাধিক জায়গায় তাঁরা আর জি কর কাণ্ডের বিচার চেয়ে গণস্বাক্ষর সংগ্রহ করেছেন। এর মধ্যেই রবিবার তাহেরপুরের নেতাজি পার্কে ১২ ঘণ্টার প্রতীকী অনশনের ডাক দেন বাম নেতারা। রবিবার সকাল দশটা থেকে রাত দশটা পর্যন্ত সেটি চলে। উপস্থিত ছিলেন তাহেরপুরের পুরপ্রধান উত্তমানন্দ দাস, দুই প্রাক্তন পুরপ্রধান রতনরঞ্জন রায়, নিরঞ্জন মিস্ত্রী, সিপিএমের তাহেরপুর এরিয়া কমিটির সম্পাদক সুপ্রতীপ রায়-সহ একাধিক নেতৃত্ব এবং পুর প্রতিনিধিরা। সিপিএম নেতৃত্ব এ দিন দাবি করেন, রাজ্য জুড়ে নারী নির্যাতনের ঘটনা বাড়ছে। নাবালিকাও নিরাপদ নয়। রাজ্য সরকার অপরাধ দমন করতে পারছে না বলে অভিযোগ তাঁদের। রাজ্যে নারী নির্যাতনের ঘটনার বিচার চেয়ে তাই সোমবার অনশন করে সিপিএম। রাজ্যের শহরগুলির মধ্যে একমাত্র বাম বোর্ড রয়েছে তাহেরপুরে। সেই তাহেরপুর থেকেই অনশনের মতো আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়ে বার্তা দিল সিপিএম। শুধু ক্ষমতায় থাকাই নয়, তাহেরপুরে সিপিএমের সংগঠনও যথেষ্ট শক্তিশালী। বিভিন্ন সময়ে ঘুরে দাঁড়ানোর প্রশ্নে এই তাহেরপুরের দৃষ্টান্ত রাজ্য জুড়ে সামনে রেখেছে সিপিএম। সেখান থেকেই এ বার আন্দোলনে ঝাঁজ বাড়াচ্ছে তারা।

সিপিএমের তাহেরপুর এরিয়া কমিটির সম্পাদক সুপ্রতীপ রায় বলেন, ‘‘রাজ্যে নারী নির্যাতনের ঘটনা বাড়ছে। রাজ্য সরকার এবং প্রশাসন তো দর্শক! মহিলাদের ন্যূনতম নিরাপত্তা দিতেও তারা ব্যর্থ। এই পরিস্থিতিতে আমরা পথে নেমেছি।’’ সিপিএমের এই আন্দোলনকে অবশ্য কটাক্ষ করেছে তৃণমূল। তৃণমূলের রানাঘাট সংগঠনিক জেলা সভাপতি দেবাশীষ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, ‘‘সরকার ব্যবস্থা নিচ্ছে এই ধরনের ঘটনা রোধ করার জন্য। যেখানে এ রকম হয়েছে, সেখানে গ্রেফতারি হয়েছে। আগে ওঁরা বলুন, ওঁদের সরকার থাকার সময়ে বানতলা, ধানতলার মতো ঘটনায় তাঁরা কী করছিলেন। তখন তাঁরা চুপ করে বসেছিলেন কেন?’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement