সভায় সুজন। নিজস্ব চিত্র
শিক্ষা বাঁচাও-সংবিধান বাঁচাও-দেশ বাঁচাও, এই দাবিতে এসএফআইয়ের সর্বভারতীয় জাঠা ও সেই উপলক্ষে শুক্রবার গণ সমাবেশের আয়োজন হয়েছিল বেলডাঙার ভাবতায় ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক লাগোয়া একটি স্থানে। সেই সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন বাম নেতা সুজন চক্রবর্তী। তিনি বলেন, ‘‘অতীতে পশ্চিমবঙ্গের মানুষ বাংলার বাইরে গেলে সম্মান পেত। ধরে নিন কোন মানুষ চেন্নাই গিয়েছেন, কোনও রিকশা চালক যখন জানতেন, তিনি পশ্চিমবঙ্গ থেকে এসেছেন, বলতেন জ্যোতি বসুর রাজ্য থেকে এসেছেন? বলে স্যালুট করতেন, নমস্কার করতেন। এখন দেখলে চোরের রাজ্যের লোক বলে ব্যঙ্গ করেন।’’
এর পরেই সুজন বলেন, ‘‘আমরা জ্যোতিবাবুর সেই রাজ্য হারিয়েছি।’’ তিনি বলেন, ‘‘ঐতিহাসিক ছাত্র সমাবেশ হবে ২ সেপ্টেম্বর কলকাতার। মানুষের অধিকার বুঝে নিতে হবে। দেশের অধিকার ও সংবিধানের প্রশ্নে বাম সংগঠন আজও মানুষের পাশে থেকে সঠিক নির্দেশ দেয়।’’ তিনি বলেন, ‘‘বিজেপির পিছনে আরএসএস রয়েছে। স্বাধীনতার সময় আরএসএস কোথায় ছিল? মোদী ও শাহ পদবিরা কোথায় ছিলেন? বিজেপি ও তৃণমূল একই সুরে কথা বলে। ভারতের নাগরিকদের আজ কাগজ দেখিয়ে প্রমাণ দিতে হচ্ছে তারা ভারতীয়। এই ইস্যুতে পশ্চিমবঙ্গের মানুষকে চোখ রাঙাচ্ছে বিজেপি। সেই সাহস পেয়েছে তৃণমূলের কাছ থেকে। আজ জ্যোতি বসুর সরকার থাকলে সেই সাহস পেত না। এখানেই মূল পার্থক্য।’’ তৃণমূল ও বিজেপি নেতৃত্ব অবশ্য সুজনের মন্তব্য ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছে।
এ দিন সুজনের সভায় উপচে পড়া ভিড় না হলেও সভাস্থল ভরে গিয়েছিল। বক্তাদের মধ্যে ছিলেন সিপিএমের জেলা সম্পাদক জামির মোল্লা, এসএফআই এর সর্ব ভারতীয় সম্পাদক ময়ূখ বিশ্বাস।