ফাইল চিত্র।
জিয়াগঞ্জের সপরিবার শিক্ষক খুনের ঘটনায় নতুন করে সাক্ষ্য গ্রহণের তারিখ ঠিক হল না বৃহস্পতিবার।
পুলিশ সূত্রে খবর, গত মে মাসের ১১, ১২ ও ১৩ তারিখ অতিরিক্ত জেলা দায়রা আদালতে (দ্বিতীয়) সাম্যদীপ মুখোপাধ্যায়ের এজলাসে সাক্ষ্য গ্রহণ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু করোনা আবহে লকডাউনের জেরে ওই সময় তা আর হয়নি। তারপর বৃহস্পতিবার নতুন করে শিক্ষক খুনের ঘটনায় মূল অভিযুক্ত উৎপল বেহেরাকে আদালতে হাজির করানো হয়। এদিন অভিযুক্ত উৎপল বেহেরাকে ফাস্ট ট্র্যাক আদালতের বিচারক সঞ্জয় কুমার শর্মার এজলাসে হাজির করানো হয়।
এদিন সরকার পক্ষের আইনজীবী সওকত আলি বলেন, ‘‘এর আগের সাক্ষ্য গ্রহণের তিনটে তারিখে লকডাউনের কারনে সাক্ষ্য গ্রহণ হয়নি। এদিন মূলত ঠিক হত, কবে থেকে ফের সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হবে। কিন্তু অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা আদালত (দ্বিতীয়) এর বিচারক বিশেষ কারণে অনুপস্থিত থাকায় ফাস্ট ট্রাক কোর্টের সঞ্চয়কুমার শর্মার এজলাসে অভিযুক্তকে হাজির করানো হয় এবং বন্ধুপ্রকাশ খুনের মামলার আজকের সমস্ত কাজ ফাস্ট ট্রাক আদালতেই হয়েছে। বিচারক নভেম্বর মাসের ১৮ তারিখে ফের দিন ধার্য করেছেন। আশা করছি ওই দিনই ফের কবে থেকে সাক্ষ্য গ্রহণ শুরু হবে তা ঠিক হয়ে যাবে।’’ এ দিন আদালতের কাছে উৎপলের জামিনের আবেদন জানান উৎপলের আইনজীবী কৌশিক দে। কিন্তু জামিন খারিজ করে দেন বিচারক।
উৎপলের আইনজীবী বলেন, ‘‘জামিনের আবেদন জানিয়েছিলাম কিন্তু বিচারক তা নামঞ্জুর করেছেন।’’ গত বছর আট অক্টোবর বিজয়া দশমীর দিন দুপুরে নিজের বাড়িতে খুন হয় জিয়াগঞ্জের লেবুবাগানের বাসিন্দা বন্ধুপ্রকাশ পাল আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী বিউটি পাল ছয় বছরের ছেলে অঙ্গন পাল।