—ফাইল চিত্র।
পেঁয়াজ চাষিদের গোলা নির্মাণের জন্য রাজ্য সরকারের এক লক্ষ ৭৫ হাজার টাকার অনুদান নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ উঠল তৃণমূল নিয়ন্ত্রিত নাকাশিপাড়া পঞ্চায়েত সমিতির কিছু সদস্যদের বিরুদ্ধে। স্থানীয় বিক্রমপুর পঞ্চায়েতের তৃণমূলের কিছু কর্মীই বিডিও-র কাছে এই বিষয়ে লিখিত অভিযোগ জানিয়েছেন।
লিখিত অভিযোগে বলা হয়েছে, চলতি অর্থবর্ষে চাষিদের পেঁয়াজ সংরক্ষণের গোলা নির্মানের জন্য এক লক্ষ ৭৫ হাজার টাকা করে অনুদানের কথা বলেছে রাজ্য সরকার। কিন্তু নাকাশিপাড়া পঞ্চায়েত সমিতি যে প্রাপক তালিকা তৈরি করেছে তাতে এমন অনেকের নাম আছে যাঁরা আদৌ পেঁয়াজ চাষি নন, অনেকে আবার পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যের আত্মীয়।
মাস কয়েক আগেই আমপানের ক্ষতিপূরণের তালিকায় পুকুর চুরির অভিযোগ উঠেছিল শাসক দলের বহু নেতার বিরুদ্ধে। সে ক্ষেত্রেও নাম জড়িয়েছিল নাকাশিপাড়া পঞ্চায়েত সমিতির একাংশের। তার জের কাটতে না কাটতেই আর এক দুর্নীতির অভিযোগ সামনে আসছে যার জের গিয়ে পড়তে পারে বিধানসভা ভোটে।
শুক্রবার জাহাঙ্গির শেখ নামে এক অভিযোগকারী বলেন, “আমি তৃণমূল করি। যদিও বর্তমানে আমাদের মতো পুরনো কর্মীদের দল পাত্তা দেয় না। কিন্তু চোখর সামনে যে দুর্নীতি হচ্ছে তা দেখে চুপ করে থাকাও যায় না।” তবে নাকাশিপাড়া পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি ব্রজেশ্বর রায়ের দাবি, “এই পেঁয়াজ চাষের গোলা তৈরি বিষয়টি একশো দিনের প্রকল্পের দফতরের কাজ। এর প্রচুর নিয়ম রয়েছে। তবে এই কাজের কোনও প্রক্রিয়া এখনও শুরু হয়নি। সবটুকু ব্লক অফিস থেকে দরপত্রের মাধ্যমে করা হবে। এই সব অভিযোগ ভিত্তিহীন।”
নাকাশিপাড়ার বিডিও কল্লোল বিশ্বাস বলেন, “অভিযোগ পাওয়ার পরেই জেলার উদ্যানপালন দফতরের নজরে বিষয়টি আনা হয়েছে।” জেলা উদ্যানপালন আধিকারিক সুরপতি মণ্ডল বলেন, “কোনও চাষি এখনও টাকা পাননি। ষে সব আবেদন এসেছে, তা ধাপে ধাপে ব্লকে পাঠানো হবে। তারা বিষয়টি দেখে বিবেচনা করার পরেই চাষিরা টাকা পাবেন।”