Coronavirus in West Bengal

রাস্তা ফাঁকা, বাঁশ দিয়ে ঘেরা হচ্ছে এলাকা

শনিবার রঘুনাথগঞ্জে এক করোনা পজিটিভ আক্রান্তের হদিশ মেলায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকায়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

জঙ্গিপুর ও কান্দি শেষ আপডেট: ১৮ মে ২০২০ ০১:০২
Share:

ব্যারিকেড। খড়গ্রামে।  —নিজস্ব চিত্র।

জেলার বহু রাস্তা থেকেই উধাও হচ্ছে ভিড়। বহু বাজার বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। রঘুনাথগঞ্জ বাজারেও গিজ গিজে ভিড় উধাও। মাছের বাজার বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে ভিড়ের কারণে। খড়গ্রামে কোভিড-১৯ পজ়িটিভের হদিশ পাওয়া গিয়েছে। তারপর থেকেই এলাকার বাঁশের ব্যারিকেড থেকে অঘোষিত কন্টেনমেন্ট জোন হিসাবে ঘোষণা করেছে স্থানীয় প্রশাসন। কোভিড-১৯ রোধ করতে টানা ৫৫ দিন ধরে লকডাউন চলছে দেশ জুড়ে। কিন্তু এই প্রথম এলাকায় লকডাউন হতে দেখা গিয়েছে। খড়গ্রাম ব্লকের একটি এলাকা সুনসান। গ্রামের রাস্তায় জনা কয়েক পুলিশ, স্বাস্থ্যকর্মীরা ছাড়া আর কেও নেই।

Advertisement

শনিবার রঘুনাথগঞ্জে এক করোনা পজিটিভ আক্রান্তের হদিশ মেলায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকায়। ফলে শনিবার পর্যন্ত নিয়ম নীতি মেনে চলার বালাইহীন এলাকায় নজরে পড়েছে সতর্ক চলাচল। ভিড় কমেছে গোটা এলাকায়। রাস্তা ঘাট অনেকটাই ফাঁকা। মির্জাপুরে আনাজের বাজারেও ভিড় উধাও।

অনেকেই আতঙ্কের গ্রাম জুড়ে করোনা পরীক্ষার দাবি তুলেছেন। এমনকি স্থানীয় জেলা পরিষদ সদস্য তৃণমূলের ঝর্না দাস বলছেন, “যা পরিস্থিতি তাতে এ দাবি অসঙ্গত নয়। কারণ রিপোর্ট পাওয়ার আগে আক্রান্ত নিজেও বহু এলাকাতেই ঘুরেছেন। বাজারহাট করে বেরিয়েছেন। তাই সকলেরই মনে ভয় দেখা দিয়েছে। স্বাস্থ্য দফতরে আমি বলেছি ওই গ্রামে গিয়ে ভয় কাটাতে কিছু পদক্ষেপ করতে হবে।” গ্রামেরই বদরে আলম বলেন, ‘‘গ্রাম জুড়েই ভীত মানুষ। স্বাস্থ্য দফতরের উচিত গ্রামে বিশেষ টিম পাঠিয়ে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা।”

Advertisement

গ্রামের এক যুবক রাজীব শেখ বলছেন, “গ্রামে প্রায় হাজার জন পরিযায়ী শ্রমিক রয়েছেন। ফিরে এসেছেন প্রায় ৭০ ভাগই। বেশির ভাগই কলকাতা ফেরত। গ্রামে দূরত্ব রেখে তো যাতায়াত হয় না। মাস্কও আর ক’জন ব্যবহার করেন? তাই আমরা সকলেই চিন্তিত।”

জঙ্গিপুরের এসডিপিও প্রসেনজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় বলছেন, “ওই এলাকায় পুলিশ নজরদারি বাড়িয়েছে। গ্রামের মানুষকে বলা হয়েছে, নিজের নিজের বাড়ির মধ্যে থাকতে। নিজের বাড়ির মধ্যেই ইদ পালন করতে। বাইরের আত্মীয় পরিজনদের সেখানে এবারে আমন্ত্রণ না জানানোই ভাল।”

খড়গ্রামেও কলকাতা থেকে একদল পরিযায়ী শ্রমিক ৮ মে গ্রামের বাড়িতে ফিরেছেন। তারপর তাঁদের হোম কোয়রান্টিনে থাকার নির্দেশ দিয়েছিলেন স্বাস্থ্য দফতরের আশাকর্মীরা। স্বাস্থ্যকর্মীরা ওই পরিযায়ী শ্রমিকদের গত ১২ মে লালারস সংগ্রহ করেন এবং শনিবার সকালে তাঁদের লালারসের রিপোর্টে এক যুবকের শরীরে করোনাভাইরাস সংক্রমণ পজিটিভ দেখা যায়। তারপর থেকেই দাবানলের মতো ছড়িয়ে যায় করোনাভাইরাস সংক্রমিত হওয়ার খবর। আশেপাশের গ্রামগুলিতে আতঙ্কের ছায়া নেমে আসে। লকডাউন অমান্য করে নেই সকালে খেতে কাজে যাওয়ার ভিড়, আনাজের বাজারে সেই চেনা ভিড় দেখা যায়নি। বেমালুম পাল্টে গিয়েছে খড়গ্রাম ব্লকের মাড়গ্রাম অঞ্চলের ছবি। স্থানীয় বাসিন্দাদের অনেকেই বলতে শোনা গিয়েছে ‘একেই বলে লকডাউন’।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement