Coronavirus

কমছে না ভিড় মাছের বাজারে  

এলাকার অনেকেই বিষয়টি নিয়ে আতঙ্কিত এবং তাঁরা চাইছেন যাতে বাজারটি কিছু দিনের জন্য অন্য কোথাও সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৮ এপ্রিল ২০২০ ০৪:২৩
Share:

এ ছবি মঙ্গলবারের। নিজস্ব চিত্র

করোনা প্রতিরোধে লকডাউনের মধ্যেও মাছ খাওয়ার টান এড়াতে পারছেন না অনেকেই। আর এই অপ্রতিরোধ্য মৎস্যপ্রেমেই অশনিশঙ্কেত দেখছেন স্বাস্থ্যকর্তারা।

Advertisement

চাকদহ রেল স্টেশনের কাছে মাছের আড়তের পাশেই বসে মাছের বাজার। অভিযোগ, লকডাউনকে উপেক্ষা করে সেখানে ভোর থেকে কয়েক ঘণ্টা প্রতিদিন বিক্রেতা ও ক্রেতাদের ভীড় জমছে। এবং প্রশাসন সব জেনেও নির্বিকার।

এলাকার অনেকেই বিষয়টি নিয়ে আতঙ্কিত এবং তাঁরা চাইছেন যাতে বাজারটি কিছু দিনের জন্য অন্য কোথাও সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।

Advertisement

চাকদহ রেল স্টেশন-সংলগ্ন মণীন্দ্র হাটে ৮টি মাছের আড়ত রয়েছে। বিভিন্ন জায়গা থেকে মৎসজীবীরা এই আড়তে মাছ নিয়ে আসেন। বিভিন্ন জেলা থেকেও এই আড়তে মাছ আসে। মাছ ব্যবসায়ীরা এখান থেকে মাছ কিনে চাকদহ শহর ও তার আশপাশের বিভিন্ন গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায় বিক্রির জন্য নিয়ে যান। অনেকে গ্রামে ঘুরে বিক্রি করেন। আড়তের পাশেই রয়েছে ৮৮টি মাছের দোকান। সেখানেও বেশ কয়েক ঘণ্টা ধরে মাছ বিক্রি হচ্ছে।

বাজারের দোকান মালিকদের তরফে নিমাই মণ্ডল বলেন, “কোনও সমস্যা যাতে না হয়, সে জন্য দু’টি দোকানের মাঝে বেশ কিছুটা ব্যবধান রাখা হয়েছে। ক্রেতা এবং বিক্রেতাদের বলা হয়েছে, কেউ যেন অযথা ভিড় না- করেন।যেন পরস্পরের থেকে দূরত্ব বজায় রাখেন। কিছু লোক সেই কথা মানছেন না বলেই সমস্যা হচ্ছে।’’ তিনি আরও বলেন, “প্রশাসন যদি মনে করে এখান থেকে অন্য জায়গায় বাজার সরিয়ে নিয়ে গেলে সকলের উপকার হবে তাতে আমাদের কোনও আপত্তি নেই।’’

মাছ বিক্রেতাদের অনেকের অবশ্য মত, এখন প্রতিযোগিতার বাজার। পরিচিত ক্রেতারা তাঁদের কাছে মাছ না-পেলে অন্য জায়গা থেকে মাছ কিনে নিয়ে যাবে। ফলে তাঁদের আর্থিক ক্ষতি হবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement