Coronavirus

অবশেষে ফেরা, আনন্দের সঙ্গী চিন্তাও

মঙ্গলবার কেউ ফিরলেন সরকারি আয়োজনে ট্রেনে চেপে আবার কেউ ফিরলের ব্যক্তিগত ভাবে বাসে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কৃষ্ণনগর শেষ আপডেট: ১৩ মে ২০২০ ০২:১৪
Share:

বেঙ্গালুরুতে চিকিৎসা করাতে গিয়ে আটকে পড়েন। মঙ্গলবার সরকারি বাসে বাড়ি ফিরলেন রানাঘাটের তরুণী। ছবি: সুদীপ ভট্টাচার্য

অবশেষে ফিরতে পারলেন তাঁরা। নিজের জেলায় পা রেখে কেউ কান্নায় ভেঙে পড়লেন, কেউ দু’ আঙুলে ভিকট্রি চিহ্ন দেখালেন, কেউ মাটি চুম্বল করলেন, কেউ আনন্দে জড়িয়ে ধরলেন সহযাত্রীকে। অনেকটা স্বস্তির সঙ্গে তাঁদের মনে মিশে রইল রোগ নিয়ে খানিক উদ্বেগও।

Advertisement

মঙ্গলবার কেউ ফিরলেন সরকারি আয়োজনে ট্রেনে চেপে আবার কেউ ফিরলের ব্যক্তিগত ভাবে বাসে। প্রস্তুত ছিলেন জেলা প্রশাসনের কর্তা থেকে মেডিক্যাল টিম—প্রত্যেকেই। পুলিশি প্রহরায় তাঁদের কৃষ্ণনগর ও জাগুলি এলাকায় বাস থেকে নামিয়ে শারীরিক পরীক্ষা করা হয়। কাউকে পাঠিয়ে দেওয়া হয় কোয়রান্টিন কেন্দ্রে, কাউকে আবার হোম কোয়রান্টিনে।

মঙ্গলবার বেঙ্গালুরু থেকে বিশেষ ট্রেন এসে থামে বাঁকুড়া স্টেশনে। সেখান থেকে তিনটে বাসে নদিয়ার ৮৮ জনকে নিয়ে আসা হয় কৃষ্ণনগরে। পাঁচ জনের মধ্যে কিছু উপসর্গ থাকায় তাঁদের কৃষ্ণনগর কর্মতীর্থের কোয়রান্টিন কেন্দ্রে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। বাকিদের ১৪ দিন হোম কোয়রান্টিনে থাকতে বলা হয়েছে।

Advertisement

মঙ্গলবার রাতে বিশেষ ট্রেনে ভেলোর থেকে সেখানে চিকিৎসার জন্য যাওয়া ১৭০ জনের ফেরার কথা ছিল। তবে গভীর রাত পর্যন্ত তাঁদের সম্পর্কে জেলা প্রশাসনের কাছে কোনও খবর আসেনি। একটি ট্রেন এসেছে হাওড়া স্টেশনে। সেখান থেকে জেলার লোকেদের বাসে করে আনার ব্যবস্থা করে হয়েছে। এ দিন পশ্চিম মেদিনীপুর থেকে দু’টি বাসে ৫১ জনকে ফিরিয়ে আনা হয়েছে। তাঁদেরও জগুলিতে পরীক্ষার পর হোম কোয়রান্টিনে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মহারাষ্ট্রের নাসিক থেকে নিজেদের চেষ্টায় বাস ভাড়া করে ফিরে এসেছেন ৪৫ জন। মঙ্গলবার রাত পর্যন্ত সব মিলিয়ে মোট ২৫০ জনের লালারসের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। মঙ্গলবার বিকেল পাঁচটা পর্যন্ত ১১৪৩ জন ভিন রাজ্য বা জেলা থেকে নদিয়ায় ফিরেছেন। এ দিন গাঁটরা গ্রামে করোনা-আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে আসা ১৫ জনেরই রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement