এ বছর দেখা যাবে না এমন ছবি। ফাইল চিত্র
গত প্রায় এক মাস একটা ভাইরাসের জন্য জীবনটাই যেন বদলে গিয়েছে। এমন একটা গুড ফ্রাইডে কাটাতে হবে কোনওদিন কল্পনাও করেননি কৃষ্ণনগরের নীপা বিশ্বাস বা তেহট্টের ডমেনিক বিশ্বাস।
করোনার জন্য এ বছর গুড ফ্রাইডের অনুষ্ঠান বন্ধ। চার্চে ভক্তদের প্রবেশ নিষেধ। নদিয়া জেলার বিভিন্ন চার্চের তরফ থেকে ভক্তদের অনুরোধ করা হয়েছে, ওই দিন যেন প্রত্যেকে নিজের বাড়িতে বসেই ঈশ্বরকে স্মরণ করেন। নীপা বলেন, ‘‘প্রতি বছর এই দিনে সকাল থেকে উপোস করে দুপুরে চার্চে যাই। জিশুর মূর্তিতে চুম্বন করে তাঁর প্রতীকী মরদেহ ও মা মারিয়ার মূর্তি নিয়ে শহরের রাস্তায় শোভাযাত্রায় অংশ নিই। এ বছর বাড়িতেই জিশুর মূর্তিতে চুম্বন করবো, সন্ধ্যে ছ’ টার ঘণ্টা বাজার পর কিছু খেয়ে উপোস ভাঙবো।" কৃষ্ণনগর রোমান ক্যাথলিক চার্চের কমিটির সম্পাদক সমীর স্টিফেন্স লাহিড়ি বলেন, ‘‘শোভাযাত্রা এ বছর বন্ধ রাখা হয়েছে। তবে, চার্চের ভিতরের গোটা অনুষ্ঠান ইন্টারনেটে সরাসরি সম্প্রচার করা হবে।’’
চাপড়ার রানাবন্দ এলাকায় প্রায় ৫০০ খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বী পরিবার আছেন। ‘‘এ বছর গুড ফ্রাইডের দিন চার্চের গেট সাধারণের জন্য বন্ধ থাকবে’’ বলেই জানান রানাবন্দ চার্চের পালক পুরোহিত ফাদার লুকাস সরকার। আজ চার্চে ভক্তদের পা ধুইয়ে দেওয়ার এক অনুষ্ঠান হয়। করোনা ভাইরাসের কারণে সে অনুষ্ঠানও বাতিল করা হয়েছে। তবে কৃষ্ণনগরের মতোই এখানকার চার্চ ও রানাঘাট বেগোপাড়া চার্চের অনুষ্ঠান ইন্টারনেটের মাধ্যমে সরাসরি সম্প্রচার করা হবে। বাড়িতেই গুড ফ্রাইডের অনুষ্ঠান পালনের আবেদন জানানো হয়েছে তেহট্ট ও করিমপুরের চার্চ কর্তৃপক্ষও। মুরুটিয়া চার্চ সুত্রে জানা গিয়েছে, গুড ফ্রাইডের দিন প্রোটেস্ট্যান্টরা দুপুর বারোটা থেকে তিনটে পর্যন্ত প্রার্থনায় যোগ দেন। এ বছর চার্চের প্রার্থনায় জনসাধারণের অংশগ্রহণ বন্ধ করা হয়েছে ও বাড়িতেই প্রার্থনা করতে বলা হয়েছে বলে জানান শিকারপুর ও মুরুটিয়া চার্চের ভারপ্রাপ্ত রেভারেন্ড অশোক মণ্ডল।
(অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।)