প্রতীকী ছবি।
করোনাভাইরাস সংক্রমণ সন্দেহে শনিবার দুপুরে বহরমপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে দু’জন ভর্তি হলেন। জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, তাঁদের এক জন কেরল ফেরত খড়গ্রামের বাসিন্দা, অন্য জন পঞ্জাবের বছর চল্লিশের এক লরিচালক।
খড়গ্রামের বছর ছাব্বিশের ওই যুবক কয়েক দিন আগে কেরল থেকে গ্রামে ফিরেছেন। জ্বর, সর্দি, শ্বাসকষ্ট হওয়ায় এ দিন তাঁকে আইসোলেশন ওয়ার্ড ভর্তি করা হয়েছে। পঞ্জাবের ওই লরিচালকেরও জ্বর সর্দি কাশি ছিল। মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের অধ্যক্ষ মঞ্জু বন্দোপাধ্যায় বলেন, ‘‘ওই দু’জনের লালারসের নমুনা সংগ্রহ করে নাইসেডে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হচ্ছে।’’ করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে এমন কোনও রোগীকে সাধারণ রোগী ভর্তি রয়েছেন তেমন হাসপাতালের বদলে আলাদা ব্যবস্থা করার নির্দেশিকা এসেছে। তাই মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল থেকে আইসোলেশন ওয়ার্ড মাতৃসদনে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার তোড়জোড় শুরু হয়েছে। মাতৃসদনেই কোয়রান্টিনের ব্যবস্থা ছিল। এ বার তা অন্যত্র সরানো হবে। জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর ঝাড়খন্ড সীমান্তে ১৫ মার্চ থেকে স্ক্রিনিং শুরু হয়েছে। সে দিন থেকে এ পর্যন্ত ঝাড়খণ্ড সীমান্তে ২০ হাজার ৮৯৮ জনের স্ক্রিনিং করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে মুর্শিদাবাদের ১৩ জন এবং ঝাড়খণ্ডের ৭ জনকে স্বাস্থ্য দফতরের পক্ষ থেকে হোম কোয়রান্টিনে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এ বছর জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত ৭৪৩ জন বিদেশ থেকে মুর্শিদাবাদে ফিরেছেন। তাঁদের মধ্যে এই মুহূর্তে ২৯৪ জনকে হোম কোয়রান্টিনে থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তাঁরা স্বাস্থ্য দফতরের নজরদারিতে রয়েছেন।
ভিন্ রাজ্য থেকে এখনও পর্যন্ত ২৬ হাজার ৪৭৪ জন মুর্শিদাবাদে ফিরেছেন। গত দু’দিনে প্রায় দশ হাজার বাসিন্দা ভিন্ রাজ্যে থেকে জেলায় ফিরেছেন। সেই সংখ্যা আরও বাড়ছে। ভিন্ রাজ্য ফেরত লোকজন স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতাল ও বহরমপুরে মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের অফিসের সামনে লম্বা লাইন পড়েছিল।
অভূতপূর্ব পরিস্থিতি। স্বভাবতই আপনি নানান ঘটনার সাক্ষী। শেয়ার করুন আমাদের। ঘটনার বিবরণ, ছবি, ভিডিয়ো আমাদের ইমেলে পাঠিয়ে দিন, feedback@abpdigital.in ঠিকানায়। কোন এলাকা, কোন দিন, কোন সময়ের ঘটনা তা জানাতে ভুলবেন না। আপনার নাম এবং ফোন নম্বর অবশ্যই দেবেন। আপনার পাঠানো খবরটি বিবেচিত হলে তা প্রকাশ করা হবে আমাদের ওয়েবসাইটে।