রথে ভিড়। নেই সচেতনতা। শনিবার। নিজস্ব চিত্র
করোনার চতুর্থ ঢেউ দুয়ারে ধাক্কা মারা শুরু করতেই করোনা টিকার বুস্টার ডোজ নেওয়ার হার কিছুটা বাড়তে শুরু করেছে। অনেকেই এত দিন বুস্টার ডোজ না নিয়ে বসে ছিলেন। তার পিছনে ‘করোনা চলে গিয়েছে’ এমন একটা ধারণা যেমন কাজ করেছে তেমনই ৬০-র নীচের লোকেদের পয়সা দিয়ে বেসরকারি জায়গা থেকে ওই ডোজ নিতে হবে বলেও অনেকে পিছিয়ে গিয়েছেন। কিন্তু করোনা আবার বাড়তে শুরু করায় অনেকেই আর ঝুঁকি নিতে চাইছেন না।
কিছু দিন আগেও যেখানে গোটা জেলায় মাসে ১০-১২ হাজারের বেশি মানুষ বুস্টার ডোজ নিতে আসছিলেন না সেখানে গত এক সপ্তাহেই সংখ্যাটা প্রায় ২০ হাজারে পৌঁছেছে। কর্তারা বলছেন, যাঁরা বুস্টার ডোজ নেননি তাঁদের মধ্যে ১৮ থেকে ৫৯ বছরের মানুষের সংখ্যাই বেশি। নদিয়া জেলায় ১৮ থেকে ৪৪ বছরের মাত্র ২৫৭৭ জন ও ৪৫ থেকে ৫৯ বছরের ৩৫৬৭ জন বুস্টার ডোজ নিয়েছেন। ৬০ বছর ও তার বেশি বয়সীদের মধ্যে ৯১১৫৪ জন বুস্টার ডোজ নিয়েছেন।
করোনা আবার বাড়তে শুরু করেছে। দৈনিক সংক্রমণ ১৪-১৫তে পৌঁছেছে। মাঝে সংখ্যাটা বেড়ে ৪১ পর্যন্ত উঠে যায়। করোনা রোগীর মৃত্যু খবর আসতে শুরু করেছে। দিন কয়েক আগে কল্যাণীতে করোনা-আক্রান্ত এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছিল জেএনএম হাসপাতালে। বৃহস্পতিবার ভোরে আরও এক করোনা আক্রান্তের মৃত্যু হয় জেএনএম-এই।
জেলায় বাসিন্দাদের একটা বিরাট অংশ বুস্টার দূরে থাক, এখনও করোনার দ্বিতীয় ডোজই নেননি। ডোজ সম্পুর্ণ করতে মার্চ-এপ্রিল থেকে বিশেষ ‘ড্রাইভ’ দিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর। কিন্তু বুস্টার ডোজের সংখ্যা এখনও আশাজনক জায়গায় যায়নি।