প্রতীকী ছবি।
দু’দিন পর স্বস্তি ফিরল খাঁড়েরায়। সালারের ভূশণ্ডি গ্রামের ক্যানসার আক্রান্ত এক বৃদ্ধের দিনকয়েক আগে করোনার সংক্রমণ ধরা পড়েছে। বর্তমানে কলকাতার হাসপাতালে ভর্তি তিনি। তা নিয়ে এলাকায় আতঙ্কের পরিবেশ ছিলই।
এরই মধ্যে গত সোমবার ভূশণ্ডির পড়শি গ্রাম খাঁড়েরার চার বাসিন্দার শ্বাসকষ্টের সমস্যা হওয়ায় তাঁদের করোনার সংক্রমণ হয়েছে বলে গুজবে আতঙ্ক ছড়িয়েছিল গ্রামে। স্বাস্থ্য দফতরের তরফে ওইদিনই চারজনের লালারসের নমুনা সংগ্রহ করে মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছিল। তবে তাঁদের আইসোলেশনে না রেখে বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়ায় এলাকায় আতঙ্কের সৃষ্টি হয়। মঙ্গলবার রাতে চারজনের নমুনা পরীক্ষার রিপোর্ট ‘নেগেটিভ’ এসেছে। কয়েক দিন ধরে ভূশণ্ডির বিভিন্ন রাস্তা বাঁশের ব্যারিকেড দিয়ে ঘিরে রেখেছিলেন স্থানীয়রা। বুধবার তা খুলে দেওয়া হয়েছে। এলাকায় রাস্তাঘাটে এদিন লোকজনকে দেখা গিয়েছে। তবে স্থানীয় বাসিন্দা মহম্মদ বসির ও ইনতাজ হোসেন বলেন, “চিন্তা তো দূর হল বটেই। তবে স্বাস্থ্য দফতর ওঁদের আইসোলেশনে রেখে রিপোর্টের জন্য অপেক্ষা করতে পারত। তা হলে এমন আতঙ্কে দু’টো দিন কাটাতে হত না।’’ জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক প্রশান্ত বিশ্বাস অবশ্য বলেন, “প্রতিদিন বহু লোকের লালারস পরীক্ষা করা হচ্ছে। আতঙ্কের কিছু নেই।” অন্যদিকে, ভূশণ্ডি গ্রামের ওই বৃদ্ধের সংস্পর্শে আসা ২৮ জনকে দিনকয়েক আগে সালারের কর্মতীর্থে কোয়রান্টিনে পাঠানো হয়েছিল। তাঁদের লালারসের নমুনা পরীক্ষা করে করোনার সংক্রমণ পাওয়া যায়নি। মঙ্গলবার রাতে ওই ২৮ জনকে তাঁদের বাড়িতে পৌঁছে দিয়েছেন স্বাস্থ্য দফতরের লোকজন।