প্রতীকী ছবি।
এক বন্ধুর যক্ষ্মা হয়েছে। তাঁকে দেখতে গিয়েছিলেন রাজ্য সরকারের অর্থ দফতরের রেজিস্ট্রেশন বিভাগের এক আধিকারিক। রোগযন্ত্রণায় ভেঙে পড়া বন্ধুর গায়ে হাত বুলিয়ে স্বান্ত্বনা দিয়েছিলেন। আশ্বাস দিয়ে বলেছিলেন, ‘‘তুই সুস্থ হয়ে যাবি। তোর কোনও ভয় নেই।’’ সেই বন্ধুর বাড়ি থেকে ফিরে আসর কয়েক দিন পরেই তিনি জানতে পারেন, ওই বন্ধু করোনা-আক্রান্ত হয়েছেন। যক্ষ্মা রোগীদের কো-মর্বিডিটির জন্য করোনা হওয়ার আশঙ্কা এমনিতেই বেশি থাকে। এর কয়েক দিন পরেই লালারস পরীক্ষা করে ঘটনাচক্রে তাঁরও করোনা ধরা পড়ে। তবে ওই বন্ধুর থেকেই তিনি সংক্রমিত হয়েছেন কি না সেটা নিশ্চিত ভাবে জানা যায়নি।
বন্ধুর করোনা হয়েছে জেনে গত বৃহস্পতিবার চাকদহ স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ওই আধিকারিক করোনা পরীক্ষা করান। সেই দিন রিপোর্ট আসে ও দেখা যায় যে, তিনি কোভিড পজ়িটিভ। আপাতত তিনি চাকদহের বাড়িতে হোম আইসোলেশনে রয়েছেন। পরিবারের অন্য সদস্যেরা দীঘায় বেড়াতে গিয়েছিলেন। ওই আধিকারিকের করোনার কথা জানতে পেরে তাঁরা বাড়ি ফেরেননি। তাঁদের গ্রামের বাড়িতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। করোনা-আক্রান্ত ওই ব্যাক্তি চাকদহের রেজিস্ট্রেশন বিভাগের আধিকারিক পদে রয়েছেন। সেই অফিস বন্ধ রয়েছে। সেখানে জীবাণুনাশক স্প্রে করা হয়েছে। সেখানকার অন্য কর্মীদের করোনা পরীক্ষা করিয়েছেন। ওই আধিকারিক বলেন, “আমার লিভার প্রতিস্থাপন হয়েছিল। আমাদের মতো রোগীদের এমনিতেই ইমিউনিটি বা শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতা কম। তাই একটু দুশ্চিন্তায় রয়েছি।’’ চাকদহ পুরসভার স্যানিটারি ইনস্পেক্টর সুপ্রকাশ বিশ্বাস বলেন, “রেজিস্ট্রেশন অফিসের এক আধিকারিক করোনা-আক্রান্ত হয়েছেন। তাঁর অফিসে জীবাণুনাশক স্প্রে করা হয়েছে।”