ভিড় বাড়ছে রাস্তাঘাটে। শনিবার রানাঘাটে। ছবি: প্রণব দেবনাথ
জেলায় প্রতি দিন লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। আর তার সঙ্গে বাড়ছে কন্টেনমেন্ট জ়োনও। শনিবার সকাল পর্যন্ত জেলায় আরও দশজন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন বলে জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে।
এখনও পর্যন্ত জেলায় আক্রান্তের সংখ্যা ৭৫। আর জেলার বিভিন্ন এলাকায় সব মিলিয়ে ৪৬টি কন্টেনমেন্ট জ়োন করা হয়েছে। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলায় নতুন করে যে সমস্ত আক্রান্তের হদিস মিলছে, তার সিংহ ভাগই পরিযায়ী শ্রমিক। গোড়ার দিকে নদিয়ার উত্তর প্রান্তে সংক্রমণ পাওয়া গেলেও সম্প্রতি জেলার দক্ষিণ প্রান্তে চাকদহ, রানাঘাট, শান্তিপুরের একাধিক জায়গায় করোনা আক্রান্তের হদিস মিলেছে।
এ দিন তেহট্টে ফের করোনা সংক্রমণের ঘটনা সামনে এসেছে। মহারাষ্ট্র থেকে ফিরে আসা এক শ্রমিকের রিপোর্ট পজ়িটিভ এসেছে। তেহট্টের কৃষ্ণচন্দ্রপুর পূর্বপাড়ার বাসিন্দা ওই যুবক গত ২০ মে ফেরেন। ২৪ মে তাঁর লালারসের নমুনা নেওয়া হয় পরীক্ষার জন্য। শুক্রবার রাতে তাঁর রিপোর্ট পজ়িটিভ আসে। এরপর শনিবার তাঁকে কল্যাণীর কোভিড হাসপাতালে পাঠানো হয়। আক্রান্ত যুবকের সংস্পর্শে আসা ১০ জনকে চিহ্নিত করে তেহট্টের আইসোলেশন সেন্টারে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
করিমপুর ১ এবং করিমপুর ২ ব্লকেও ফের নতুন করে সংক্রমণের ঘটনা সামনে এসেছে। এঁদের মধ্যে একজন করিমপুর ২ ব্লকের ফাজিলনগরের বাসিন্দা। অপরজন আদতে মুর্শিদাবাদের বাসিন্দা, তবে করিমপুরের মাঠপাড়ায় ভাড়া থাকেন। তাঁরা দু’জনেই ভিন্ রাজ্য থেকে ফিরেছেন গত সপ্তাহে। তাঁদের পরীক্ষার পর বেথুয়াডহরির আইসোলেশন কেন্দ্রে রাখা হয়। এ দিন তাঁদের রিপোর্ট পজ়িটিভ আসে। তবে করিমপুরের কেউ বা তাঁদের পরিবারের কেউ তাঁদের সংস্পর্শে আসেননি।
এ দিনের পর জেলায় যেমন করোনা আক্রান্তের সংখ্যা দাড়াল ৭৫, তেমনই জেলার নানা ব্লক এবং পুর এলাকা মিলে এখনও পর্যন্ত ৪৬টি জায়গাকে কন্টেনমেন্ট জ়োন করা হয়েছে প্রশাসনের তরফে। শহরের মধ্যে রয়েছে চাকদহের ২১ নম্বর ওয়ার্ড, শান্তিপুরের ১ নম্বর এবং নবদ্বীপের ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের এলাকা। হাঁসখালি ব্লকের বাদকুল্লা ২, মামজোয়ান, গাজনা, শান্তিপুর ব্লকের হরিপুর, বাগআঁচড়া, চাকদহের দেউলির মতো নানা ব্লকের একাধিক গ্রামের বেশ কিছু এলাকায় কন্টেনমেন্ট জ়োন করা হয়েছে জেলা প্রশাসনের তরফে।