ফাইল চিত্র।
করোনার টিকা বাজারে এলে সকলকে দেওয়া হবে। তবে প্রথমে স্বাস্থ্যকর্মীদের উপরে প্রয়োগ করা হবে— কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক এমনই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ইতিমধ্যে টিকাকরণ প্রক্রিয়া সুষ্ঠু ভাবে সম্পন্ন করার জন্য কেন্দ্র থেকে রাজ্যগুলিকে প্রস্তুতির নির্দেশও দিয়েছে। সেই নির্দেশ মতো মুর্শিদাবাদ জেলা স্বাস্থ্য দফতরও করোনার টিকাকরণের প্রাথমিক প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে। তাঁরা প্রাথমিক ভাবে স্বাস্থ্যকর্মীদের তথ্য সংগ্রহ শুরু করেছে। তবে সুষ্ঠু ভাবে টিকাকরণ সম্পন্নের জন্য কেন্দ্র থেকে জেলাশাসকের নেতৃত্বে যে টাস্ক ফোর্স গঠনের নির্দেশ দিয়েছে, তা হাতে পেলেই জেলা স্তরে টাস্ক ফোর্স গঠন করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে বলে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
সূত্রের খবর, কত জনের টিকা দেওয়া হচ্ছে, টিকাকরণের দায়িত্বে যাঁরা আছেন তাঁদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে কি না, ঠিক ভাবে সব জায়গায় টিকা পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে কি না তা দেখার দায়িত্ব জেলাস্তরের টাস্ক ফোর্সের। এ ছাড়া টিকাকরণে মানুষকে উৎসাহ দেওয়া, টিকাকরণে যাতে কোনও রকম ব্যাহত না হয় তাও ওই কমিটিকে দেখতে হবে।
মুর্শিদাবাদের জেলাশাসক জগদীশপ্রসাদ মিনা বলেন, ‘‘টিকাকরণের প্রাথমিক প্রস্তুতি হিসেবে স্বাস্থ্যকর্মী ও অঙ্গনওয়াড়ি কর্মীদের ডাটাবেস তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। পরবর্তী সময়ে টিকাকরণের বিষয়ে যেমন নির্দেশ আসবে সেই অনুযায়ী পদক্ষেপ করা হবে।’’
জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, করোনার টিকা এখনও বাজারে আসেনি। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে করোনার টিকা নিয়ে ট্রায়াল চলছে। তবে টিকা শীঘ্রই বাজারে আসবে ধরে নিয়ে গত অক্টোবরে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক জানিয়েছিল, আগামী জুলাই মাসের মধ্যে দেশের ২৫ কোটি মানুষকে করোনার টিকা দেওয়া হবে। আর টিকা হাতে পেলে প্রথমে স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রয়োগ করা হবে। সেই মতো করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে প্রথম সারিতে থাকা চিকিৎসার সাথে যুক্ত লোকজনের তালিকা তৈরির কাজ করছে মুর্শিদাবাদ জেলা স্বাস্থ্য দফতর। সেই তালিকায় সব স্তরের স্বাস্থ্যকর্মীদের নাম নথিভুক্ত করা হচ্ছে।
মুর্শিদাবাদের মুখ্যস্বাস্থ্য আধিকারিক প্রশান্ত বিশ্বাস বলেন, ‘‘আমরা ডাটাবেস তৈরির নির্দেশিকা পেয়েছি। সেই কাজ চলছে।’’