মহরমের প্রস্তুতি। নিজস্ব চিত্র
করোনা আবহে এই বছর লালবাগের ইমামবাড়ার মহরমে বেশ কিছু পরিবর্তন হবে। এখনও অবধি জানা গিয়েছে, এ বার শোকযাত্রা এই বছর কারবালা পর্যন্ত না নিয়ে যাওয়ারই সিদ্ধান্ত হয়েছে। সমস্ত নিয়ম পালন হবে ইমামবাড়ার ভিতরেই। এমনটাই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ আইন বিভাগের তরফে। এমনকি এই বছর ইমামবাড়ায় প্রবেশও নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে। এই বছর মহরমে ইমামবাড়ার ভিতরে শুধুমাত্র নিজামত পরিবারের লোকজন ও স্থানীয় বাসিন্দা যাঁরা মহরমের সঙ্গে যুক্ত, তাঁরা ছাড়া আর কারও প্রবেশাধিকারও থাকছে না। যদিও এই বছর যাদের প্রবেশাধিকার থাকছে তাদেরও মানতে হবে একাধিক সরকারি নিয়ম এমনকি সকলকে ইমামবাড়াতে ঢোকানোর আগে থার্মাল স্ক্রিনিং করে হাত ভাল করে স্যানিটাইজ় করে মুখে মাস্ক লাগিয়ে তবেই ঢোকানো হচ্ছে। এদিন মুর্শিদাবাদের স্টেট ম্যানেজার জয়ন্ত মণ্ডল বলেন, ‘‘এই বছর করোনা আবহে সমস্ত নিয়ম মেনেই ইমমবাড়ার মহরম পালন হচ্ছে। তবে করোনা আবহে বেশ কিছু পরিবর্তন আনা হয়েছে।’’
সূত্রের খবর, লালবাগের হাজারদুয়ারির সামনের ইমামবাড়া বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের আইন বিভাগের সম্পত্তি। ইমামবাড়াতে নবাবি আমলের রীতি অনুযায়ী ইসলাম ধর্মের ধর্মীয় পাঁচটি অনুষ্ঠান পালন হয়। মহরমের মাস পড়লে দশ দিন পর্যন্ত সাধারণ মানুষের জন্য খুলে দেওয়া হয় ইমামবাড়ার দুয়ার। সেখানে আসেন বিভিন্ন সম্প্রদায়ের মানুষ।
এ দিন নবাব নিজামত বংশের এক বরংশধর সৈয়দ আফজল রজা বলেন, ‘‘করোনা আবহের জন্য এই বছর সকলে মিলে আলোচনা করেই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আর যদি শোকযাত্রা বেরোয় তা হলে তাতে প্রচুর বাইরের মানুষ ঢুকে পড়বে। এমনকি দশম মহরমের দিনের আগে যে জৌলুস গলো বের হয় সেখানেও একই সম্ভবনা রয়েছে। কাজেই এই বছর সমস্ত জৌলুস বন্ধ রাখতে হচ্ছে।"
এদিন মুর্শিদাবাদ ইমাম সংগঠনের সম্পাদক আব্দুর রেজ্জাক বলেন, ‘‘করোনা আবহে সতর্ক থাকতেই হবে। আমিও সকলকে বলে দিয়েছি এই বছর মহরম যেন নিজ নিজ বাড়িতে বসেই পালন করেন সকলে। কোথাও যেন কোনও শোকযাত্রা বের না হয়।’’