COVID19

বর্জ্য কোভিড হাসপাতালে, দায় নেবে কে?

সময় মত পরিষ্কারও করা হচ্ছে না সেই আঁস্তাকুড়। এর ফলে হাসপাতালের অনেক কর্মীই কাজ করতে যেতে ভয় পাচ্ছেন।

Advertisement

অমিত মণ্ডল

কল্যাণী শেষ আপডেট: ০২ জুন ২০২১ ০৫:১৭
Share:

পড়ে বর্জ্য। কল্যাণী কোভিড হাসপাতালে। নিজস্ব চিত্র

কিছু দিন আগেই অভিযোগ উঠেছিল, গয়েশপুরে কোভিড হাসপাতালের বাইরে রাস্তার দুধারে যত্রতত্র করোনা আক্রান্তের জামাকাপড়, পিপিই কিট ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকছে। সেগুলো কুকুরে টেনে নিয়ে যেতে পারে বা হাওয়ায় উড়ে এ দিক-ও দিক যেতে পারে। তার থেকেই ছড়িয়ে পড়তে পারে সংক্রমণ।

Advertisement

হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তখন দাবি করেছিলেন, বাইরের লোক সে সব ফেলে যাচ্ছে। হাসপাতালের তরফে সে ব্যাপারে ব্যবস্থাও নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছিলেন হাসপাতাল সুপার সাগরিকা মণ্ডল। এ বার খোদ কোভিড হাসপাতাল চত্বরেই যত্রতত্র বর্জ্য ছড়িয়ে থাকতে দেখা গেল। অভিযোগ, বর্জ্য ফেলার নির্দিষ্ট জায়গা থাকলেও সেখানে ঠিকঠাক ভাবে রাখা হচ্ছে না। সময় মত পরিষ্কারও করা হচ্ছে না সেই আঁস্তাকুড়। এর ফলে হাসপাতালের অনেক কর্মীই কাজ করতে যেতে ভয় পাচ্ছেন।

হাসপাতাল সূত্রের খবর, সেখানে বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য বর্জ্য ফেলার জায়গার ঠিক উল্টো দিকে জেনারেটর রয়েছে। একটি জেনারেটর খারাপ হয়ে পড়ে আছে। সেটি সারানোর জন্য লোক ডাকা হলেও জায়গাটির অবস্থা দেখে সেখানে তাঁরা যেতে চাইছেন না। আরও যে জেনারেটর রয়েছে সেগুলো দেখাশোনার জন্য লোক রাখা আছে। কিন্তু তিনিও বর্জ্যের ভয়ে ধারে-কাছে থাকেন না। ঝড়বৃষ্টির সময়ে বিদ্যুৎ চলে গেলে বড় বিপত্তি হতে পারে। যিনি জেনারেটর চালান, তিনি ওই জায়গায় না থাকলে বিদ্যুৎ বিভ্রাটের সময়ে তাঁর জেনারেটরের কাছে যেতে যেতেই অনেকটা সময় চলে যাবে। বিদ্যুতের অভাবে গুরুতর রোগীর বড়সড় ক্ষতি হয়ে যেতে পারে।

Advertisement

পূর্ত দফতরের ইলেকট্রিক্যাল ডিভিশনের এগজ়িকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার দেবব্রত সামন্ত বলেন, “আমরা এই বিষয়ে নদিয়া জেলা স্বাস্থ্য দফতরকে লিখিত ভাবে জানিয়েছিলাম।” জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক অপরেশ বন্দ্যোপাধ্যায় বর্তমানে অসুস্থ। তাঁর জায়গায় সদ্য দায়িত্ব নেওয়া দেবাশিস সরকার বলেন, “এই বিষয়টি নিয়ে বারবার বলা হচ্ছে। লেখাও হচ্ছে। জেলার স্বাস্থ্য দফতরের পাশাপাশি অন্য বিভাগকেও সক্রিয় হতে হবে। বায়োমেডিক্যাল বর্জ্য ফেলার দায়িত্ব মেডিকেয়ারের। আমাদের সঙ্গে ওদের চুক্তি রয়েছে। সাধারণ বর্জ্য ফেলার কথা গয়েশপুর পুরসভার। তাদের সঠিক ব্যবস্থপনার অভাবে সাধারণ বর্জ্যপদার্থ জমে যাচ্ছে।”

গয়েশপুর পুরসভার মুখ্য প্রশাসক মরণকুমার দে-র বক্তব্য, “পুরসভার দায়িত্ব সাধারণ বর্জ্য নিয়ে আসার, তা এক দিন পরপর নিয়ে আসা হয়। বায়োমেডিক্যাল ওয়েস্ট তো পুরসভা তুলবে না? মেডিকেয়ারের দায়িত্ব।” হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের দাবি, তাঁরা এই নিয়ে মঙ্গলবারই পদক্ষেপ করেছেন। কোনও বর্জ্যই যাতে জমে না থাকে, সে দিকে নজর দেওয়া হচ্ছে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement