প্রতীকী ছবি।
বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে কল্যাণী কার্নিভাল কোভিড হাসপাতাল। আগামী সপ্তাহের প্রথম দিকেই এই হাসপাতালের সমস্ত পরিকাঠানো সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হবে কল্যাণীর এনএসএস যক্ষ্মা হাসপাতালে। শুধু মাত্র সিসিইউ-এ অতি গুরুতর কিছু রোগীকে স্বাস্থ্যের কারণে ঠাঁইনাড়া না-করে কার্নিভালেই কিছু দিন রাখা হবে। যক্ষ্মা হাসপাতালে তিনশো শয্যার কোভিড হাসপাতাল তৈরির কাজ চলছে বলে জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর।
জেলার স্বাস্থ্যকর্তাদের দাবি, এতে একই ছাদের তলায় একসঙ্গে অনেক বেশি রোগীকে পরিষেবা দেওয়া সম্ভব হবে। এবং লোকবল কম লাগবে। কার্নিভাল অধিগ্রহণের ফলে সরকারের যে টাকা খরচা হচ্ছিল তা-ও বাঁচবে। বিদ্যুতের বিপুল খরচ বেঁচে যাবে। কার্নিভাল কোভিড হাসপাতালে শয্যা সংখ্যা ছিল ১২০টি। আর কৃষ্ণনগরের গ্লোকাল হাসপাতালকে প্রথমে সারি ও পরে ১৫০ শয্যার কোভিড হাসপাতাল করা হয়। কল্যাণীর যক্ষ্মা হাসপাতালকে তিনশো শয্যার কোভিড হাসপাতাল হিসাবে ব্যবহার করার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর দিন কয়েক আগে সেখানে প্রাথমিক ভাবে ৫০ শয্যা চালু করা হয়েছে। কিন্তু কার্নিভাল ও যক্ষা হাসপাতাল, দুই জায়গায় পরিকাঠামো চালাতে সমস্যা হতে থাকে। বিশেষ করে চিকিৎসক, নার্স, টেকনোলজিস্ট, টেকনিশিয়ানের ঘাটতি দেখা দেয়।
জেলা প্রশাসনের এক কর্তার কথায়, কার্নিভালে কোভিড হাসপাতাল বন্ধ করার পাশাপাশি অ্যাকোয়াটিক প্যালেসে চিকিৎসক,নার্স ও কর্মীদের থাকার যে ব্যবস্থা করা হয়েছিল সেটাও বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। সেখানে প্রতিদিন ৩৫ জনের জন্য ১৬০০ টাকা করে খরচ করতে হত। চিকিৎসক-নার্সদের এখন নার্সিং ট্রেনিং স্কুলের আবাসনে থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। সেখানে এক সঙ্গে ৬০ জন থাকতে পারবেন।
যক্ষ্মা হাসপাতালে তৈরি হতে চলা কোভিড হাসপাতালে ১০টি সিসিইউ ও ৪০টি এসডিইউ শয্যা থাকবে। প্রতিটি শয্যার সঙ্গে একটি করে ভেন্টিলেটর থাকবে। বর্তমানে কার্নিভালে ১০টি ভেন্টিলেটর আছে। রাজ্য থেকে আরও ১০টি ভেন্টিলেটর পাঠানো হয়েছে। আশেপাশের অন্য সরকারি হাসপাতাল থেকে আরও পাঁচটি ভেন্টিলেটর আনা হচ্ছে।
যক্ষ্ণা হাসপাতালের সুপার হচ্ছেন হাসপাতালের নোডাল অফিসার। কল্যাণী মহকুমা স্বাস্থ্য আধিকারিককে অ্যাডিশন্যাল নোডাল অফিসার। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক অপরেশ বন্দ্যোপাধ্যায় বলছেন, “আগামী সপ্তাহের মধ্যেই কার্নিভাল হাসপাতাল বন্ধ করে দিয়ে পুরোটাই যক্ষ্ণা হাসপাতালে রূপান্তরিত করতে পারব।’’