ফুলের স্তবক দিয়ে স্বাগত জানানো চলছে। নিজস্ব চিত্র
জেলা স্বাস্থ্য দফতরের উদ্বেগের কারণ হয়ে উঠেছিল তেহট্ট। কারণ নদিয়ার মধ্যে এখানেই করোনা-আক্রান্তের সংখ্যা এখনও সবচেয়ে বেশি। দিনে দিনে সংখ্যাটা বাড়ছে। কিন্তু শঙ্কার কালো মেঘের মধ্যেও একটা কারণে স্বস্তির রূপোলি আলো দেখছেন কর্তারা। সেটি হল, আক্রান্তদের সুস্থ হয়ে ওঠার হার। এ পর্যন্ত তেহট্টের ৩১ করোনা পজিটিভ-এর মধ্যে ২১ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। তাঁদের সকলকে বাড়িতে পৌঁছে দিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর।
আরও একটি ইতিবাচক দিক হল, প্রত্যন্ত গ্রামাঞ্চলেও সুস্থ হয়ে ফিরে আসা মানুষের সামাজিক গ্রহণযোগ্যতা বৃদ্ধি। বেশ কিছু দিন পর্যন্ত এলাকার অনেক গ্রামে করোনা থেকে সুস্থ হয়ে ওঠা মানুষদের নিয়ে ভয়, তাঁদের ও তাঁদের পরিবারকে দীর্ঘমেয়াদী ভাবে একঘরে করে রাখার প্রবণতা কাজ করছিল। সেটা ধীরে ধীরে কমছে বলে জানিয়েছেন প্রশাসনিক কর্তারা। গ্রামবাসীরা তাঁদের পাশে থাকার আশ্বাস দিচ্ছেন।
গ্রামেও এখন করোনাজয়ীরা ফিরলে ফুলের তোড়া উপহার দেওয়া হচ্ছে এবং হাততালি দিয়ে অভিবাদন জানানো হচ্ছে। মানসিক ভাবে নেতিবাচক মনোভাব মানুষ এনেকটা কাটাতে পেরেছেন। যেমন, সোমবার করোনা থেকে সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরলেন বেতাই উত্তর জিৎপুর এলাকার বছর আঠারোর এক পরিযায়ী শ্রমিক। তাঁকেও স্বাগত জানান গ্রামবাসীরা।
এলাকার বাসিন্দা শুভঙ্কর ঘোষ বলেন, ‘‘ওই যুবক সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরলে বৃষ্টি উপেক্ষা আমরা হাততালি ও ফুল দিয়ে তাঁকে অভিবাদন জানাই।’’ তেহট্ট -১ ব্লক-এর বিডিও অচ্যুতানন্দ পাঠক বলেন, ‘‘এই ব্লকে করোনা সংক্রমণ সব থেকে বেশি ছিল জেলার মধ্যে। সমস্ত স্তরের কর্মী ও এলাকার মানুষের প্রচেষ্টায় তা প্রতিরোধ করা সম্ভব হয়েছে। সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার জন্য সে ভাবে আর আক্রান্তের সংখ্যাও বাড়েনি। ভাল খবর, যাঁরা সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরছেন তাঁদের এলাকার মানুষ সাদর অভ্যর্থনা জানিয়ে গ্রামে ফেরাচ্ছেন। সুস্থতার হারও অনেক বেশি। এতে আমরা খুব খুশি।’’