ফরাক্কা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র নিয়ে বাড়ছে উদ্বেগ।
দ্রুত করোনা পরীক্ষার জন্য রাজ্যের অন্য জেলার সঙ্গে মুর্শিদাবাদেও র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট শুরু হল মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, এই দু’দিনে ১০০ জনের অ্যান্টিজেন পরীক্ষা হয়েছে। মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের সুপার শর্মিলা মল্লিক বলেন, ‘‘অ্যান্টিজেন পরীক্ষায় দ্রুত ফল পাওয়া যায়। সে জন্য খুব জরুরি রোগীদের ক্ষেত্রে র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট করা শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যে একশো জনের নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। তাতে এক জনের পজ়িটিভ হয়েছে।’’
গত ২৪ ঘণ্টায় মুর্শিদাবাদে মোট ৩১ জনের করোনা পজ়িটিভ হয়েছে। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন দুই সাংবাদিক, দু’জন পুলিশকর্মী ও দু’জন স্বাস্থ্যকর্মী।
ফরাক্কায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে গেল ১৯ জন। দুই সিআইএসএফ জওয়ানের মৃত্যুতে জেলায় মৃত্যুর সংখ্যাও বাড়ল আরও ২টি। এনটিপিসির ফরাক্কা তাপ বিদ্যুৎ কেন্দ্রে করোনা সংক্রমণের কবলে পড়েছেন ১৯ জন, যা এতদিন জেলা বা ব্লক স্বাস্থ্য দফতরকে জানানোই হয়নি বলে দাবি, ফলে তা ছিল গণনার বাইরে।
যেমন বৃহস্পতিবার জেলা স্বাস্থ্য দফতরের হিসেবে ফরাক্কায় পজ়িটিভ ছিলেন ২ জন। কিন্তু সে দিনই এনটিপিসির টেস্টে ফরাক্কায় ৭৭ জনকে পরীক্ষা করে পজ়িটিভ মিলেছে ১ জন ইঞ্জিনিয়ার ও ৫ জন সিআইএসএফ জওয়ানের।
গত ৬ দিন ধরে র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট করা হচ্ছে এনটিপিসির নবারুণ হাসপাতালে একদিন অন্তর। এ পর্যন্ত প্রায় ১৭০ জনের টেস্ট হয়েছে সেখানে।
জেলা ও ব্লক স্বাস্থ্য দফতর ও স্থানীয় প্রশাসনের কাছে এই সব টেস্টের রিপোর্ট না পাঠানোয় সকলেই ক্ষুব্ধ। কারণ এই ১৯ জন পজিটিভ আক্রান্তের কোনও তথ্য স্বাস্থ্য দফতর ও প্রশাসনের কাছে জমাই পড়েনি।
ফলে করোনা আক্রান্তের ক্ষেত্রে যে সব বিধিনিষেধ ও সতর্কতা মূলক ব্যবস্থা নিয়ে থাকে প্রশাসন, পুলিশ ও স্বাস্থ্য দফতর এ ক্ষেত্রে তা নিতে পারছে না।
এনটিপিসির নবারুণ হাসপাতালের মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক গণেশচন্দ্র মণ্ডল বলেন, “এনটিপিসির হাসপাতালে টেস্ট করা হচ্ছে। আক্রান্তদের পাঠানো হচ্ছে মালদহের পুবারুণ টাউনশিপ হাসপাতালে নিজস্ব আইসোলেসন ওয়ার্ডে। ১৯ জনের পজ়িটিভ মিলেছে, ২ জন সিআইএসএফ জওয়ানের মৃত্যুও হয়েছে।’’
জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক প্রশান্ত বিশ্বাস বলছেন, “এনটিপিসি র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট করবে বলে জানিয়েছিল। কিন্তু শুরু করেছে তা এখনও জানায় নি। সেখানে পজিটিভ পাওয়ার খবরও স্বাস্থ্য দফতরে পাঠানো হয়নি। আমি বিষয়টি দেখছি।”
(জরুরি ঘোষণা: কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের জন্য কয়েকটি বিশেষ হেল্পলাইন চালু করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। এই হেল্পলাইন নম্বরগুলিতে ফোন করলে অ্যাম্বুল্যান্স বা টেলিমেডিসিন সংক্রান্ত পরিষেবা নিয়ে সহায়তা মিলবে। পাশাপাশি থাকছে একটি সার্বিক হেল্পলাইন নম্বরও।
• সার্বিক হেল্পলাইন নম্বর: ১৮০০ ৩১৩ ৪৪৪ ২২২
• টেলিমেডিসিন সংক্রান্ত হেল্পলাইন নম্বর: ০৩৩-২৩৫৭৬০০১
• কোভিড-১৯ আক্রান্তদের অ্যাম্বুল্যান্স পরিষেবা সংক্রান্ত হেল্পলাইন নম্বর: ০৩৩-৪০৯০২৯২৯)