Coronavirus in West Bengal

বন্দিত্ব কাটলেও তিনি থাকবেন তো

করোনার ছায়া পড়েছে গাঁয়ের গভীরেও। নিভু নিভু গ্রামীণ স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলির সামনেও ভয়ার্ত মানুষের আঁকাবাঁকা লাইন। কেমন আছে সেই সব অচেনা স্বাস্থ্যকেন্দ্রগুলি, খোঁজ নিল আনন্দবাজার করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় একজন চিকিৎসক সেখানে যাচ্ছেন। এখানে গত দুই মাস ধরে বহিরাগত মানুষের নানা চিকিৎসা হচ্ছে।

Advertisement

সেবাব্রত মুখোপাধ্যায়

বেলডাঙা শেষ আপডেট: ২৪ এপ্রিল ২০২০ ০৬:০২
Share:

প্রতীকী ছবি

বেলডাঙা ২ ব্লকের সীমানা ভারি অদ্ভুত। ভাগীরথী নদী এই ব্লককে দুটো আড়াআড়ি ভাগে ভাগ করেছে। মোট ১১টি গ্রাম পঞ্চায়েতের মধ্যে এক পাড়ে পাঁচটি, অপর পাড়ে ছয়। এই ভাগ সর্বত্র। ব্লকের প্রধান কেন্দ্র ভাগীরথীর পশ্চিমে শক্তিপুর।

Advertisement

সেখানেই ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র। এ ছাড়া মোট তিনটি প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্র রয়েছে দু’দিকে। পূর্বে একটি পশ্চিমে দু’টি। এই নিয়ে পূর্ব পাড়ের মানুষের ক্ষোভের অন্ত নেই। কারণ পশ্চিম দিকে পাঁচটি গ্রাম পঞ্চায়েত থাকলেও এই পাড়েই ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র ছাড়াও দুটি প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র রয়েছে। তাদের মধ্যে অন্যতম সোমপাড়া প্রাথমিক স্বাস্থ্য। সেখানে অতীত কালে আট বেডের হাসপাতাল চলত। এখন তা চলে না। তবে করোনা পরিস্থিতিতে একজন চিকিৎসক পরিষেবা দিচ্ছেন। তবে এই হাসপাতাল নিয়ে অভিযোগও কম নয়। কয়েক দশক আগে এখানে সব ধরনের চিকিৎসা হত। হাসপাতালের বেডে আট জন রোগী ভর্তি থাকতেন। প্রসূতি মায়েদের ভিড় লেগে থাকত। কিন্তু এখন তা হয় না। সারা বছর নিয়মিত চিকিৎসকও মেলে না বলে অভিযোগ। কিন্তু এখন করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় একজন চিকিৎসক সেখানে যাচ্ছেন। এখানে গত দুই মাস ধরে বহিরাগত মানুষের নানা চিকিৎসা হচ্ছে।

স্থানীয় বাসিন্দা রাখহরি মণ্ডল বলেন, “বাইরে থেকে যারা এসেছেন তাদের চিকিৎসা হয়েছে। না হলে তাদের শক্তিপুর বা বহরমপুর যেতে হত। এতে গরিব মানুষের উপকার হয়েছে।’’ সোমপাড়া প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে এখন একজন চিকিৎসক মৃণালকান্তি চট্টোপাধ্যায়। একজন ফার্মাসিস্ট ও একজন গ্রুপ ডি কর্মী হাসপাতাল চালাচ্ছেন।

Advertisement

সোমপাড়ার বাসিন্দা তাজারুল হক বলেন, “এখন একজন চিকিৎসক আছেন। কিন্তু এই পরিস্থিতি কেটে গেলে থাকবেন কিনা জানি না।” বেলডাঙা ২ ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক তরুণ বারুই বলেন, “সারা বছর ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়। এর আগে অন্য চিকিৎসক ছিলেন। করোনা পরিস্থিতিতে পরিষেবা আরও ভাল করে দেওয়ার চেষ্টা চলছে। সেখানে একজন স্থায়ী চিকিৎসক রয়েছেন।” তিনি বলেন, এখন সাধারণ রোগীর সংখ্যা লকডাউনের জেরে কম।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement