COVID-19

রবিবার ৮৮, কোভিডের ঝুঁকি বাড়ছে

দেশের যে সব রাজ্যে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ ইতিমধ্যে তুঙ্গে সেই মহারাষ্ট্র, তামিলনাড়ু, রাজস্থান, দিল্লির মত রাজ্যগুলি থেকে ইতিমধ্যে অনেক পরিযায়ী শ্রমিক গ্রামে ফিরেছেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কৃষ্ণনগর  শেষ আপডেট: ১২ এপ্রিল ২০২১ ০৬:০৮
Share:

মুখে মাস্ক নেই কারও। চাকদহে তৃণমূলের জনসভায়। রবিবার। নিজস্ব চিত্র।

প্রতিদিন লাফিয়ে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। আর সেই সঙ্গে বাড়ছে উদ্বেগ। কারণ দু’দফায় ভোট এসে গিয়েছে দুয়ারে। যত দিন যাচ্ছে ততই চড়ছে প্রচারের পারদ। বিভিন্ন দলের সভা-সমিতিতে, মিছিল-শোভাযাত্রায় ভিড়। বাড়ছে ভোট দিতে অন্য রাজ্য থেকে ফেরা পরিযায়ী শ্রমিকদের সংখ্যাও। করোনার দ্বিতীয় ঢেউ নিয়ে উদ্বেগ বাড়ছে জেলার স্বাস্থ্যকর্তাদের।

Advertisement

পঞ্চম দফায় ১৭ এপ্রিল নদিয়ার দক্ষিণাংশে এবং ষষ্ঠ দফায় ২২ এপ্রিল উত্তরাংশে ভোট। বিভিন্ন দলের রাজ্য ও জাতীয় স্তরের নেতাদের আনাগোনা চলছে। জনসভা এবং রোড-শোতে ঘেঁষাঘেঁষি ভিড়। এই পরিস্থিতিতে দূরত্ববিধি মানা যে কার্যত সম্ভব নয়, তা স্পষ্ট। হাজার-হাজার মানুষের জমায়েত হচ্ছে, যাদের বেশির ভাগের মুখেই মাস্ক নেই।

নদিয়ায় প্রতিদিনই বাড়ছে দৈনিক সংক্রমিতের সংখ্যা। রবিবার সকাল ৭টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে সংক্রমিত হয়েছেন ৮৮ জন। জেলা প্রশাসনের কর্তাদের আশঙ্কা, এ বার পরিস্থিতি প্রথম পর্যায়ের থেকেও খারাপ হতে চলেছে। নির্বাচন ঘিরে কোভিড বিধিভঙ্গের উৎসব চলছে তাতে দাঁড়িয়ে দেখা ছাড়া কিছু করার থাকছে না। বিধি রক্ষা করতে না পেরে এখন জোর দেওয়া লালারস পরীক্ষার মাধ্যমে সংক্রমিতদের চিহ্নিত করে যতটা সম্ভব আলাদা করায়। তার জন্য প্রতি দিনই পরীক্ষার সংখ্যা বাড়ানো হচ্ছে। সেই সঙ্গে জোর দেওয়া হচ্ছে পরিকাঠামো বাড়ানো কাজে।

Advertisement

দেশের যে সব রাজ্যে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ ইতিমধ্যে তুঙ্গে সেই মহারাষ্ট্র, তামিলনাড়ু, রাজস্থান, দিল্লির মত রাজ্যগুলি থেকে ইতিমধ্যে অনেক পরিযায়ী শ্রমিক গ্রামে ফিরেছেন। আরও ফিরছেন। এঁদের সম্পর্কে জেলা প্রশাসনের কাছে না আছে কোনও ঠিকঠাক তথ্য, না আছে তেমন কোনও নজরদারি। জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, লকডাউনের সময় নদিয়া জেলায় বিভিন্ন রাজ্য থেকে প্রায় ১ লক্ষ ২০ হাজার পরিযায়ী শ্রমিক ফিরে এসেছিলেন। পরে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে তাঁদের একটা বড় অংশ পুরনো কর্মক্ষেত্রে ফিরে গিয়েছেন। তাঁদেরই একাংশ এখন ভোট দিতে ফিরছেন।

প্রথম পর্যায়ের মত এ বারও এই সব পরিযায়ীদের দিকে নজর রাখার জন্য প্রশাসনের সম্বল আশাকর্মী ও এএনএম-রা। তাঁদের সতর্ক করা হয়েছে। তাঁরাই খোঁজ রাখছেন কোন গ্রামে কে ভিন্ রাজ্য থেকে ফিরেছেন। তাঁদেরকে চিহ্নিত করে পরীক্ষা করানোর ব্যবস্থা হচ্ছে।

ভোট পেরনোর আগে অবশ্য এই কাজে পুরোপুরি গতি আসা মুশকিল। কিন্তু ভোট পেরনোর পরে পরিস্থিতি আর নাগালে থাকবে কি?

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement