প্রতীকী ছবি।
ফের মুর্শিদাবাদে ৭৯ জনের করোনা পজ়িটিভ হল। রবিবার রাতে তাঁদের করোনা পজ়িটিভ হয়েছে। আক্রান্তদের মধ্যে চিকিৎসক থেকে পুলিশ কর্মী, আশাকর্মী, স্বাস্থ্য কর্মী, ব্যাঙ্কের ম্যানেজার রয়েছে। রবিবার রাতে সব থেকে বেশি আক্রান্ত হয়েছেন বহরমপুর পুরসভা ও সালার এলাকার লোকজন। এই দু’টি জায়গায় ১০ জন করে করোনা পজ়িটিভ হয়েছেন। মুর্শিদাবাদের মুখ্যস্বাস্থ্য আধিকারিক প্রশান্ত বিশ্বাস বলেন, ‘‘করোনা আক্রান্তদের চিকিৎসার জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা করা হয়েছে। এছাড়া আক্রান্তরা যাঁদের সংস্পর্শে এসেছেন তাঁদের চিহ্নিত করে পদক্ষেপ করা হচ্ছে।’’
জেলা স্বাস্থ্য দফতরের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, তবে জেলায় করোনা থেকে সুস্থতার হারও ভাল। সোমবার জেলায় ৭২জন করোনা রোগী সুস্থ হয়েছে। এই ৭২জনকে নিয়ে এ পর্যন্ত জেলায় করোনা থেকে সুস্থ হলেন ৮৫২জন। অন্যদিকে এদিনের করোনা আক্রান্ত ৭৯জনকে নিয়ে জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়াল ১২৬৯জন। এ পর্যন্ত করোনায় মৃত্যু হয়েছে ১৫জনের।
জেলা স্বাস্থ্য দফতর সূত্রের খবর, রবিবার রাতে সালারের ৬ জন পুলিশ কর্মী-সহ মোট ১০জনের করোনা পজ়িটিভ হয়েছে। আক্রান্তদের মধ্যে এএসআই, কনস্টেবল, সিভিক ভলিন্টিয়ার রয়েছেন।
বহরমপুরের ১০ জনের মধ্যে এক স্বাস্থ্য কর্মী ও তাঁর পরিবারের দু’জনের করোনা পজ়িটিভ হয়েছে। ডোমকলের আক্রান্ত তিন জনের মধ্যে ব্লাড ব্যাঙ্কের একজন চিকিৎসক ও একটি রাষ্ট্রায়াত্ত ব্যাঙ্কের এক ম্যানেজারের করোনা পজ়িটিভ হয়েছে। রবিবার রাতে হরিহরপাড়ার দু’জনের করোনা পজ়িটিভ হয়েছে। তাঁদের মধ্যে একজন সিভিক ভলিন্টিয়ারও রয়েছে। জঙ্গিপুর পুরসভা এলাকার চার জনের পজ়িটিভ হয়েছে। তাঁদের মধ্যে জঙ্গিপুর মহকুমা হাসপাতালের এক নার্স ও তাঁর স্বামী এবং এক ল্যাবরেটরি কর্মী রয়েছে। আক্রান্তদের তালিকায় জঙ্গিপুরের এক পুলিশ কর্মী রয়েছে। রঘুনাথগঞ্জ ২ব্লকের এক স্বাস্থ্য কর্মী ও তাঁর স্বামীর করোনা পজ়িটিভ হয়েছে। এছাড়া একাধিক ব্লকে একাধিক এএনএম, আশাকর্মী করোনা আক্রান্ত হয়েছেন।
চিকিৎসক থেকে স্বাস্থ্য কর্মী, আশাকর্মী, পুলিশ কর্মীদের মধ্যে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে থাকায় উদ্বিগ্ন জেলা প্রশাসন থেকে জেলা স্বাস্থ্য দফতরের আধিকারিকরা। তবে জেলা স্বাস্থ্য দফতরের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘চিকিৎসক থেকে স্বাস্থ্যকর্মী, আশাকর্মী, পুলিশ কর্মীরা পথে নেমে সামনে থেকে করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করছেন। ফলে তাঁদের একটা তো ঝুঁকি থাকে। তবে করোনা যোদ্ধাদের আরও সতর্ক থাকতে হবে।’’
নিচুতলায় করোনার বিরুদ্ধে কাজ করা আশাকর্মী, থেকে শুরু স্বাস্থ্যকর্মীদের অভিযোগ, তাঁদের এমনিতেই ঝুঁকির মধ্যে কাজ করতে হবে। তা সত্ত্বেও পর্যাপ্ত সুরক্ষা সরঞ্জাম পাওয়া যাচ্ছে না। যার জেরে অনেক স্বাস্থ্য কর্মী করোনা আক্রান্ত হচ্ছেন। যদিও জেলা স্বাস্থ্য দফতরের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘জেলায় পর্যাপ্ত সুরক্ষা সরঞ্জাম রয়েছে। যাঁদের যে ধরনের সুরক্ষা সরঞ্জাম দেওয়ার কথা, তাঁদের তা দেওয়া হচ্ছে।’’