Baruah Hat

করোনার জুজুতে বন্ধ হল বড়ুয়ার হাটও

সোমবার শুরু হয়ে মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত চলে রাজ্যের অন্যতম বড় বেলডাঙা বড়ুয়ার হাট। আপাতত তা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিলেন কর্তৃপক্ষ।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

বেলডাঙা শেষ আপডেট: ১৬ মার্চ ২০২০ ০৭:০৯
Share:

সুনসান বড়ুয়া হাট। ফাইল চিত্র

স্কুল-কলেজে ছুটি, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান বাতিল হয়ে গিয়েছে, সিনেমা হলেও তালা পড়তে চলেছে— এই অবস্থায় গ্রামবাংলার মেলা কিংবা হাটের কী হবে? রবিবার বেলডাঙা-সহ আশপাশের মানুষের দিনভর জল্পনা ছিল, বেলডাঙার বড়ুয়াহাটের ভবিষ্যৎ কী, আদৌ কি হাট বসবে?

Advertisement

সোমবার শুরু হয়ে মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত চলে রাজ্যের অন্যতম বড় বেলডাঙা বড়ুয়ার হাট। আপাতত তা বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিলেন কর্তৃপক্ষ।

এ দিন হাট কর্তৃপক্ষ জানিয়ে দেন, মোড়ে ৩৪ নম্বর জাতীয় সড়ক লাগোয়া ওই সাপ্তাহিক হাট আপাতত বসছে না।

Advertisement

গত সপ্তাহ থেকেই করোনাভাইরাস জনিত আতঙ্ক ছড়িয়ে ছিল। ফলে অনেকেই এই ভিড় হাটে আসেননি। গত হাটেই তাই লোকসমাগম হয়েছিল যথেষ্ট কম। রবিবার বেলডাঙা জুড়ে কয়েক দফায় বৃষ্টি হয়েছে। হাট যেহেতু খোলা জায়গায় বসে তাই ভিজে মাটিতেই হাট বসত সোমবার। তার আগেই প্রশাসন ও হাটের পরিচালকরা হাট বন্ধ রাখার কথা ঘোষণা করেন—আগামী ১৬ মার্চ সোমবার ও ১৭ মার্চ মঙ্গলবার হাট বন্ধ থাকবে।

হাট কর্তৃপক্ষের হয়ে মহম্মদ মাহমুদ এই অনুরোধ জানিয়েছেন। দেবকুণ্ড স্টেটের (হাট কর্তৃপক্ষের) পক্ষে নাজমে আলম বলেন, “আমরা আগাম সতর্কতা হিসেবে এই হাট বন্ধের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। পুলিশ ও প্রশাসনকে সে কথা জানানো হয়েছে।” বেলডাঙা-১ বিডিও বিরূপাক্ষ মিত্র বলেন, “আগাম সতর্কতা হিসাবে হাট বন্ধ করার কথা রেজিনগরের বিধায়ক রবিউল আলম চৌধুরীর মুখে শুনেছি। বিষয়টি পুলিশকে জানান হয়েছে। যাঁরা হাটে বসেন বা ক্রেতা হিসাবে উপস্থিত হন তাঁদের জানিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছেন কর্তৃপক্ষ।”

জেলা পুলিশ সুপার অজিত সিংহ যাদব এই প্রসঙ্গে বলেন, “হাট কমিটি করোনাভাইরাসের বিষয়ে সচেতন। তাঁরা হাট বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আমাদেরও এই কথা জানানো হয়েছে। আমরা এই সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানাচ্ছি। এই হাটে ভিন্ন রাজ্যের মানুষও আসেন। হাট বন্ধ থাকলে সকলেরই ভাল।”

প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, বেলডাঙার হাটে প্রায় ১০ হাজার মানুষ উপস্থিত হয়। কয়েক কোটি টাকার ব্যবসাও হয়। সেখানে শুধু মুর্শিদাবাদ নয়, পাশের মালদহ, নদিয়া, বর্ধমান, চব্বিশ পরগনার মানুষ আসেন। বাংলাদেশের মানুষও আসেন। ভিন রাজ্য ঝাড়খণ্ড ও বিহার থেকেও মানুষ এখানে একত্রিত হন। স্বাস্থ্য দফতর যেখানে বলছে ২০০-৩০০ লোকের বেশি জমায়েত না করাই ভাল। সেখানে ১০ হাজার মানুষ একত্রিত হলে সমস্যা হতে পারে। তাই এই বন্ধ রাখার কথা ঘোষণা করা হয়েছে বলে প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement