West Bengal Panchayat Election 2023

মুর্শিদাবাদে খুন কংগ্রেস কর্মী! আহত তিন, অভিযোগের তির তৃণমূলের দিকে

৪২ বছরের ফুলচাঁদের মাথায় পর পর ছয় রাউন্ড গুলি করা হয় বলে অভিযোগ। বাধা দিতে গেলে আশপাশের আরও ৩ জনকে বেধড়ক মারধর করা হয় বলে জানান কংগ্রেস নেতৃত্ব।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

খড়গ্রাম শেষ আপডেট: ০৯ জুন ২০২৩ ২৩:০০
Share:

—প্রতীকী চিত্র।

পঞ্চায়েত ভোটে মনোনয়নের প্রথম দিনেই ‘রাজনৈতিক হত্যা’র অভিযোগে উত্তপ্ত মুর্শিদাবাদের খড়গ্রাম। গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু হল ১ কংগ্রেস কর্মীর। আহত হলেন আরও ৩ জন। এই ঘটনায় তৃণমূলের দিকে অভিযোগের আঙুল উঠেছে। যদিও তৃণমূল তাদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছে।

Advertisement

স্থানীয় সূত্রে খবর, শুক্রবার সন্ধ্যায় খড়গ্রামের রতনপুর নলদীপ গ্রামের বাসিন্দা ফুলচাঁদ শেখ ছেলেকে কোলে নিয়ে বাড়ির সামনে বসে ছিলেন। সেখানে তাস খেলছিলেন বেশ কয়েক জন। অভিযোগ, ‘স্থানীয় তৃণমূল নেতা’ রফিকের নেতৃত্বে জনা ১৫ দুষ্কৃতী আচমকা কংগ্রেস কর্মী ফুলচাঁদকে ঘিরে ধরে। একদম কাছ থেকে ৪২ বছরের ফুলচাঁদের মাথায় পর পর ৬ রাউন্ড গুলি করা হয় বলে অভিযোগ। বাধা দিতে গেলে আশপাশের আরও ৩ জনকে বেধড়ক মারধর করা হয় বলে জানান কংগ্রেস নেতৃত্ব। এর মধ্যে স্থানীয়রা ছুটে আসায় এলাকা ছেড়ে পালিয়ে যান অভিযুক্তরা। আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঘটনাস্থল থেকে আহত ফুলচাঁদকে প্রথমে নিয়ে যাওয়া হয় খড়গ্রাম হাসপাতালে। পরে ফুলচাঁদের শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে কান্দি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। কিন্তু সেখানেই মৃত্যু হয় তাঁর।

ফুলচাঁদ পেশায় পরিযায়ী শ্রমিক। দিন দশেক আগেই কেরল থেকে বাড়ি ফিরেছিলেন বলে তাঁর পরিবার সূত্রে খবর। মৃতের মা মেরিনা বিবি বলেন, ‘‘আমার ছেলে কংগ্রেস করে বলে ভোটের আগে ওকে খুন করল তৃণমূলের লোকেরা। কিন্তু আমরা মরে গেলেও কংগ্রেস ছাড়ব না।’’

Advertisement

শুক্রবার রাতেই হাসপাতালে যান কান্দির প্রাক্তন বিধায়ক তথা কংগ্রেস নেতা সফিউল আলম খান। তাঁর অভিযোগ, ওই গ্রামে কংগ্রেস শক্তিশালী বুঝেই তাঁদের কর্মীকে গুলি করে খুন করেছে তৃণমূল। এ নিয়ে প্রদেশ সভাপতির অধীর চৌধুরী নিশানা করেছেন শাসকদলকে। তিনি বলেন, ‘‘নির্বাচনের নামে প্রহসন চলছে বাংলায়। বুলেট দিয়ে ক্ষমতা দখলের ইচ্ছে থাকলে ব্যালটের নাটকের কী দরকার ছিল!’’ শুক্রবার সন্ধ্যার ঘটনায় আহত কংগ্রেস কর্মী সাহেবান শেখ বলেন, ‘‘রাজনৈতিক কারণেই এই হামলা। তৃণমূল করার জন্য বলছিল ওরা। রাজি না হওয়ায় মারধর করা হয় আমাকে।”

কিন্তু তৃণমূলের সাফ দাবি, তারা এই কাজের সঙ্গে কোনও ভাবেই যুক্ত নয়। জঙ্গিপুরের তৃণমূল সাংসদ খলিলুর রহমানের কথায়, ‘‘নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে অশান্ত করতে কংগ্রেস চক্রান্ত করছে কি না, সেটা সময় বলবে। তবে এই ঘটনার সঙ্গে যিনি বা যাঁরা যুক্ত, পুলিশ তদন্ত করে তাদের শাস্তির ব্যবস্থা করবে।’’

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছেছে পুলিশ। এলাকায় দুষ্কৃতীদের খোঁজে তল্লাশি চলছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement