রানিনগরে তৃণমূলের বিরুদ্ধে আক্রমণের অভিযোগ তুলেছে সিপিএম। —নিজস্ব চিত্র।
কর্মীসমর্থকদের নিয়ে দল বেঁধে মিছিল করে মনোনয়নপত্র জমা দিতে যাচ্ছিল বামেরা। ঠিক ব্লক অফিসে ঢোকার ঠিক আগে তাদের রাস্তা আটকান কয়েক জন। মোটর বাইক থেকে শুরু করেন এলোপাথাড়ি মার। পাল্টা প্রতিরোধে অবশ্য বাইক ফেলে পালান আক্রমণকারীরা। বামেদের অভিযোগ, আক্রমণকারীরা তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতী। পঞ্চায়েত ভোটে মনোনয়ন জমা দিতে যাওয়ার প্রথম দিনেই শাসক শিবিরের বিরুদ্ধে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। কিন্তু শুক্রবার এই ঘটনার কিছু ক্ষণের মধ্যেই শুরু হয় বাম এবং তৃণমূলের মধ্যে খণ্ডযুদ্ধ। ঘটনাস্থল মুর্শিদাবাদ রানিনগর বিডিও অফিস চত্বর। পরে অবশ্য পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
স্থানীয় সূত্রে খবর, শুক্রবার দুপুরে মনোনয়ন জমা দিতে যাওয়ার সময় বাইক বাহিনীর অতর্কিত আক্রমণে সিপিএম কর্মীরা পালিয়ে যান। এর কিছু ক্ষণের মধ্যে শুরু হয় পাল্টা আক্রমণ। যে মোটর বাইকে করে এসে তাঁদের উপর আক্রমণ করা হয়েছিল সেগুলি ভাঙচুর করেন সিপিএম কর্মীরা। দু’পক্ষের সংঘর্ষে কিছুক্ষণের মধ্যেই রণক্ষেত্রের চেহারা নেয় গোটা এলাকা। বামেদের অভিযোগ, তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতীদের আক্রমণে তাঁদের বেশ কয়েক জন কর্মী জখম হয়েছেন। আহতদের গোধনপাড়া ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করানো হয়েছে।
এই ঘটনা নিয়ে সিপিএমের মুর্শিদাবাদ জেলা সম্পাদক জামির মোল্লা বলেন, ‘‘মনোনয়ন জমা দেওয়ার প্রথম দিন বাম নেতা কর্মীদের স্বতঃস্ফূর্ততা দেখে ভয় পেয়েছে তৃণমূল। তাই এই আক্রমণ। তবে এ বার শুধু মার খাওয়া নয়, প্রতিরোধও হবে।’’ যদিও সব দায় অস্বীকার করেছে মুর্শিদাবাদ সাংগঠনিক জেলা তৃণমূলের সভাপতি শাওনি সিংহ রায় বলেন, ‘‘তৃণমূল বিশ্বাস করে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার মধ্য দিয়ে মানুষের মতামত নিয়ে নির্বাচিত হতে হবে। তাই বিরোধীদের আক্রমণের কোনও প্রশ্নই নেই।’’ তাঁর কটাক্ষ, ‘‘লোকজন নেই বলে নাটক করে প্রাসঙ্গিক হতে চাইছে বামেরা।’’