অধীর চৌধুরী। — ফাইল চিত্র।
ত্রিস্তর পঞ্চায়েতকে সামনে রেখে শুক্রবার সভা করল জেলা কংগ্রেস। এ দিন বহরমপুর রবীন্দ্রসদনে সেই সভা হয়েছে। সেখানে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরী থেকে শুরু করে জেলা কংগ্রেসের নেতারা উপস্থিত ছিলেন। দলের অঞ্চল, ব্লক, জেলা নেতৃত্ব ও দলের প্রার্থীদের সভায় ডাকা হয়েছিল। সম্মেলন শেষে অধীর বলেন, ‘‘পঞ্চায়েতের ভোটের প্রস্তুতি নিয়ে বৈঠক হল। সভায় নিজেদের মত বিনিময় করা হয়েছে।’’এ দিকে পুরুলিয়ায় তৃণমূল নেতা খুনের অভিযোগে কংগ্রেস প্রার্থী গ্রেফতারের ঘটনায় অধীর বলেন, “এটাই হচ্ছে। নবগ্রামে খুন হল তৃণমূল, কংগ্রেস প্রার্থীর নামে মামলা হল। ডোমকলের তৃণমূলের নেতার কোমরে অস্ত্র, ৫২ জন কংগ্রেস কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা হল। আদ্রাতে নিজেদের অন্তর্দ্বন্দ্বে খুন হয়েছে তৃণমূল, আমাদের প্রার্থীর নামে মামলা হল। কংগ্রেস কাউকে মারতে যাবে না, কারণ কংগ্রেসের কাউকে মারার মতো ক্ষমতা নেই। যদি ক্ষমতা থাকতো আমরা আদালতে দৌঁড়াতাম না যে কেন্দ্রীয় বাহিনী দাও বলে। তৃণমূল কেন্দ্রীয় বাহিনীর জন্য আদালতে যায়নি। কারণ তাঁরা জানে, তাঁদের হাতে ক্ষমতা আছে, অস্ত্র আছে, পুলিশ আছে। যা খুশি করতে পারে।” তিনি আরও বলেন, “রাজ্যে ভয়ঙ্কর অবস্থা। এ জন্যই কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবি করেছি, আদালত তা মেনেছে। এসব কিছুই না। গতবার পঞ্চায়েত ভোটের দিন ৬৫-৭০ জন খুন হয়েছিল। বখরি ইদের পরে খুন আরও বেড়ে যাবে বলে আমার আশঙ্কা। বখরি ইদ পার করে তৃণমূলের লোকজন বোমা-পিস্তল নিয়ে নামবে।” এ দিকে কেন্দ্রীয় বাহিনী পরিচালনা প্রসঙ্গে অধীরের বক্তব্য, “কেন্দ্রীয় বাহিনীকে পরিচালনা করবে রাজ্যের পুলিশ। তাঁদের ভুল পথে পরিচালনা করা হবে। বহরমপুরকে জঙ্গিপুর বলবে। আমরা বার বার করে বলেছি মানুষের ভোট দেওয়া নিশ্চিৎ করতে হবে। এছাড়া আমরা কিছু চাই না।” দীর্ঘদিন পরে মমতা ও রাহুল এক টেবিলে নিয়ে অধীরের যুক্তি, “আপনার বাড়িতে লক্ষ্ণীপুজোয় যখন কাউকে আমন্ত্রণ করেন তখন কংগ্রেস, তৃণমূল, বিজেপি দেখেন? চেনা পরিচিতদের আমন্ত্রণ করেন। নীতিশ কুমারের বাড়িতে আমন্ত্রণ। তিনি মনে করেছেন মনে করেছেন আমন্ত্রণ করেছেন। তাই গিয়েছে। তবে পশ্চিমবঙ্গে মমতাকে খাতির করে কংগ্রেস কখনও রাজনীতি করেওনি, করবেও না।” অধীরের অভিযোগ, মুখ্যমন্ত্রী চাইছেন যেনতেন প্রকারে ভোটটা বানচাল হোক। একদিকে রাজ্যপালের সঙ্গে নির্বাচন কমিশনে সংঘাত। আর একদিকে কেন্দ্রের কাছে বাহিনীর দাবি করে দেওয়া হল। সেই দাবি মতো বাহিনী পাঠানোর ক্ষমতা নেই এত তাড়াতাড়ি নেই। হঠাৎ করে কেন্দ্র মনে করবে আর ৮২২ কোম্পানি পাঠিয়ে দেবে সেই অবস্থা নেই। দেশের দিকে দিকে অশান্তি। আমার আশঙ্কা মুখ্যমন্ত্রী পরিকল্পিতভাবে নানা বাহানা করে ভোট বানচাল করার চেষ্টা করছে।